সারজিস আলমের নির্বাচনী দৌড় শুরু, শাপলাকলি প্রতীকে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম দলীয় প্রতীক 'শাপলাকলি'র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তিনি পঞ্চগড়-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী প্রধান কার্যালয় থেকে সারজিস আলম এই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে সারজিস আলম তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, "আজকে আমার জীবনের অন্যতম একটি স্মরণীয় এবং স্মৃতিময় দিন। আমার জন্মভূমি, আমার শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত পঞ্চগড়-১ আসনকে কেন্দ্র করে আমি এই আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছি।" তিনি পঞ্চগড়কে বাংলাদেশের সর্বউত্তরের জেলা উল্লেখ করে বলেন, এর দায়িত্ব নেওয়া তার অন্যতম বড়ো একটি দায়বদ্ধতা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, "বিগত সময়ে আমার এই অভাগা পঞ্চগড় জেলায় অনেক মন্ত্রী থাকলেও পঞ্চগড়ের প্রাপ্য অধিকারটুকু আদায় করে নেওয়ার মতো জনমানুষের নেতা এর আগে পাওয়া যায়নি।"
সারজিস আলম পঞ্চগড়ের মানুষের কাছে এনসিপির পক্ষ থেকে অঙ্গীকার করেন, তারা পঞ্চগড়ের প্রাপ্য অধিকারটুকু আদায় করে নেবেন, সে যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন। তিনি পঞ্চগড়ের স্বাস্থ্যখাত ও শিক্ষার দুর্দশা, পাথর উত্তোলনে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, প্রশাসনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং নিরীহ মানুষের ওপর হয়রানি-জুলুমের তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, পঞ্চগড়-১ আসনে যদি তিনি জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন, তবে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ সব ধরনের অপকর্মের কবর রচনা করবেন। স্বাস্থ্যখাতে হাসপাতালের মান উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় মেডিকেল ও নার্সিং কলেজ স্থাপন আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন তিনি। শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং রাজনীতি থেকে শিক্ষাকে আলাদা করার লড়াইয়ে থাকার কথাও জানান সারজিস আলম।
পঞ্চগড়ের মানুষের দারিদ্র্যতা দূর করতে শিল্পায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের নৈসর্গিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে কীভাবে গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা যায়, এনসিপি সেদিকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা-সহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।




Comments