Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন ‘ভারতের অখণ্ডতা বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল। তাই সচেতন থাকতে হবে। হাদির ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যে ইসি এটা বলে সে তার কাজের নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। তাদের হাতে সুষ্ঠু নির্বাচন ঘিরে প্রশ্ন আছে। বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। বাংলাদেশে যারা জুলাই বিপ্লবীকে টার্গেট করছে, যারা মুজিববাদী রাজনীতিকে পুনর্বাসন করতে চাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের গণপ্রতিরোধ চলবে।’ 

 নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ যতবার আক্রান্ত হয় ততবার তরুণরা রাস্তায় নেমে আসে। বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ, জুলাই বিপ্লবীরা ঐক্যবদ্ধ।’ সোমবার বিকালে ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলির প্রতিবাদে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিকাল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এই সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

এসময় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নৈতিকভাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আর ওই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। দেশের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে এত বছর বাহিনীকে যারা ব্যবহার করেছিল, ৫ আগস্টের পর তাদের দক্ষতা কোথায় যেন চলে গিয়েছে! কোথা থেকে এই ধরনের খেলা চলছে সেই ডিপস্ট্রেট নিয়ে কথা বলতে হবে। এই গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে কথা বলতে হবে।’  

সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, ‘৫৪ বছর পর শকুন থেকে দেশকে রক্ষা যায় না। শকুনরা বিপ্লবীদের খামচে ধরার চেষ্টা করছে। এক ওসমান হাদি লক্ষ ওসমান হাদিতে পরিণত হবে।’

সারজিস আরও বলেন, ‘ভারতীয় হাইকমিশন যদি বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের ওই বিল্ডিং এ দেশের থাকার অধিকার নাই। ওসমান হাদির খুনিদের আশ্র‍য় দিয়ে ভারত যদি মনে করে কখনো বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে, সেটি সম্ভব না কখনোই।’

সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘এদেশের লড়াইকে বাইরের দেশে নিয়ে গেলে, এদেশের মুক্তির লড়াইও দেশের বাইরে যাবে।’ 

ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘বিপ্লব পরবর্তী ১৬ মাসে আমাদের মধ্যে বিভেদ দেখা দিয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এখন পর্যন্ত হামলাকারীকে গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়েছে এই সরকার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য আওয়ামী লীগকে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।’

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘বাংলাদেশে আর ভারতীয় আধিপত্যের রাজনীতি আর চলবে না। যেসব ভারতীয় দালাল যারা দেশকে জিম্মি করতে চায় তাদের প্রতিহত করতে হবে। এই বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি আর চলবে না। আমাদেরকেও নাকি টার্গেট করা হয়েছে, আমরা ভয় পাই না।’

সমাবেশে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ভারতের সাথে বন্ধুত্ব করে ক্ষমতায় টিকা গেলে হাসিনাকে পালাতে হতো না। ভারতের দালালি করে আর রাজনীতি করা যাবে না। ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হাসিনা, কামাল ও হাদির হত্যাকারীকে হস্তান্তর করুন। না হলে, আমরা প্রতিবাদ শুরু করব। বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।’