Image description

ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ করছেন। গত ২২ ঘণ্টায় ৩৭ লাখ টাকা সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘মাত্র ২২ ঘণ্টায় ৩৭ লাখ টাকা আপনারা পাঠিয়েছেন! ফান্ড রেইজিং লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার খুব কাছে আমরা। আপনাদের এই ভালোবাসা ও স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই।’

ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা। অর্থাৎ আর মাত্র ৯ লাখ টাকা সংগৃহীত হওয়া মাত্রই আমরা এই ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেব।’

বিকাশ ও বিকল্পভাবে টাকা পাঠানো ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘গত রাত ২টার সময় আমাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের লিমিট শেষ হয়ে গেছে। যারা এখনো অনুদান পাঠাতে আগ্রহী, কিন্তু বিকাশ সমস্যার কারণে পারছেন না, তারা দয়া করে আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ডোনেট করুন।’

ওই টাকার বিষয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, ‘শুরু থেকেই আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে এই ফান্ডের প্রতিটি পয়সার হিসাব হবে স্বচ্ছ। এই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমরা নিচের পদক্ষেপগুলো মেনে চলছি—

১. যাচাইযোগ্য রেকর্ড : আমরা কোনো ‘ক্যাশ’ বা নগদ ডোনেশন গ্রহণ করছি না। প্রতিটি অনুদান বিকাশ ও ব্যাংকিং চ্যানেলে আসছে, যার রেকর্ড সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এটি ভবিষ্যতে যেকোনো সময় যে কেউ যাচাই করতে পারবেন।

২. নিয়মিত আপডেট ও অডিট : কোন মাধ্যমে কত টাকা আসছে, তা আমরা আপনাদের নিয়মিত জানাচ্ছি। এই সমস্ত নথিপত্র আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেব, যাতে তারা পূর্ণ স্বচ্ছতা যাচাই করতে পারে। 

৩. সুনির্দিষ্ট ব্যয়ের খাত : সংগৃহীত অর্থ ঠিক কোন কোন খাতে ব্যয় করা হবে, তা স্পষ্ট করে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে। স্বচ্ছতা আরো বৃদ্ধি করার জন্য আপনাদের কোনো পরামর্শ থাকলে আমাদের জানাবেন।