জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘একটি সিটের জন্য কতিপয় রাজনৈতিক দল মিলে মার্কা বিক্রি করে নিজেদের রাজনৈতিক দলকে বিলুপ্ত করে দিচ্ছে। যারা দলকে বিক্রি করছে তারা দলের প্রতি অবিচার করছে।’
এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে। চেয়েছিলাম ব্যালট বিপ্লব হবে, হতে যাচ্ছে বুলেট বিপ্লব। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেনীর কিং কমিউনিটি সেন্টারে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট ফেনী জেলা শাখার আয়োজনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র বিপ্লবী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে শোক ও সংহতি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে তারা এসব করছেন।
আমরা জুলাইযোদ্ধারা সব সময় প্রস্তুত। গুলির মুখ থেকে আমরা ফিরে এসেছি, আমরা কখনো পিছপা হবো না।’
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু জেলায় বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে প্রশাসনের যে সখ্যতা দেখা যাচ্ছে। যদি এমন আঁতাত করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যান, তবে আপনাদের অবস্থা বেনজীর ও হারুনের মতো হবে।’
হাসনাত বলেন, ‘আগামী নির্বাচন ম্যানুপুলেট হলে তরুণ প্রজন্ম বসে থাকবে না। চাঁদাবাজদের অত্যাচারে দেশের মানুষের মধ্যে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। দেড় বছর ধরে ট্রেলার হয়েছে। নির্বাচনের পরে তাদের পূর্ণাঙ্গ পিকচার দেখাবে দেশবাসী। এ জন্য আগামীর ভোট হোক ন্যায়বিচারের পক্ষে অন্যায়ের বিপক্ষে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে।’
প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘বিগত সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় দেখা গেছে। তারা রেফারির ভূমিকায় না থেকে খেলোয়াড়ের ভূমিকা পালন করেছেন। ইতিমধ্যে লটারির মাধ্যমে যারা বিভিন্ন জেলায় ডিসি, এসপি-ওসি নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। প্রশাসন ও পুলিশকে বাংলাদেশমুখী হতে হবে। আপনাদের কোনো দল হওয়া উচিত নয়। প্রশাসনকে বলব, আপনারা নিরপেক্ষ ভূমিকা বজায় রাখুন।’
তিনি আরো বলেন, ‘হাদির জানাজায় লাখ লাখ জনতার উপস্থিতি প্রমাণ করে তিনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন। দেশ পুনর্গঠনে হাদীর চিন্তা-চেতনা আমাদের পথ অনেক দিন দেখাবে। যারা হাদিকে গিনিপিগ বলেছেন, তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। হাদিকে যারা অপ্রাসঙ্গিক মনে করেন, তাদের বিষয়ে সচেষ্ট হতে হবে। হাদি হত্যা মামলার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি আমরা এখনো দেখতে পাইনি। হাদি হত্যায় যারা বিদেশে বসে পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
ফেনী জেলার এবি পার্টির আহ্বায়ক মাস্টার আহছান উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব অধ্যাপক ফজলুল হকের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া, এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম বাদল, ফেনী জেলা এনসিপির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম সৈকত।




Comments