Image description

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ ও সাংগঠনিক বাস্তবতা বিবেচনায় চট্টগ্রাম-১০, চট্টগ্রাম-১১ এবং চট্টগ্রাম-৪ আসনে এই প্রার্থীরা ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রতীক পাচ্ছেন।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দলীয় সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম-১০ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন পাট শ্রমিক দলের সভাপতি সাঈদ আল নোমান তুর্য। তিনি সদ্য প্রয়াত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে। এলাকায় দীর্ঘদিনের সক্রিয়তা ও জনপ্রিয়তার কারণে তাকে এই আসনে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে পুনরায় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অভিজ্ঞ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তিনি এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দলীয় সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে আমীর খসরু তার ছেলে ইস্রাফিল খসরুর জন্য চট্টগ্রাম-১০ আসনটি চেয়েছিলেন। তবে সাঈদ আল নোমান তুর্য ওই এলাকায় আগে থেকেই সক্রিয় থাকায় সমঝোতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর আসনটি তুর্যকে এবং ১১ নম্বর আসনটি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বড় ধরনের পরিবর্তনের পর চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে। শনিবার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জলিল গেট এলাকায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সভায় তিনি দলীয় মনোনয়নের চিঠি হাতে পান। সভায় আসলাম চৌধুরী নেতাকর্মীদের সব বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৪ আসনে প্রাথমিকভাবে কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে আসলাম চৌধুরীর সমর্থকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দলের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে সালাউদ্দিনের পরিবর্তে আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।

দলীয় নীতিনির্ধারকদের মতে, এই তিনটি আসনে প্রার্থী পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে চট্টগ্রামে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি আরও সুসংহত হবে। বিশেষ করে সমঝোতার মাধ্যমে ১০ ও ১১ নম্বর আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটে নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন গতি আসবে বলে আশা করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।