Image description

শরীফ ওসমান হাদির মতো যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো বিকল্প তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা-৮ আসনে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে কেউ নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে শাহবাগ মোড়ে ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে চলমান অবরোধ কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেন সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, “অনেকেই অনুরোধ করছেন ঢাকা-৮ আসনে আমাদের কাউকে প্রার্থী করতে। কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, কোনো ‘সিমপ্যাথি’ বা সহানুভূতি নিয়ে আমরা নির্বাচনে দাঁড়াতে চাই না। ইনকিলাব মঞ্চ কোনো দিন সিমপ্যাথির রাজনীতি করবে না।” তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে, ইনকিলাব মঞ্চ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন এবং রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টিকারী সংগঠন।

বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে জাবের বলেন, “জনগণ হাদি হত্যার বিচারের জন্য আপনাদের পাশে চায়। আপনারা যদি সোচ্চার না হন, তবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনগণই আপনাদের সোচ্চার করে দেবে।” তিনি অভিযোগ করেন, যারা হাদির নাম ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায় কিন্তু খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে রাজপথে নেই, তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।

তীব্র শীতের মধ্যে শাহবাগে অবস্থানরত কর্মীদের কথা উল্লেখ করে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “উপদেষ্টারা এখন কম্বলের নিচে ঘুমাচ্ছেন, আর রাষ্ট্র যেন স্থবির হয়ে আছে। কিন্তু জনগণ পাহারাদার হয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে আছে।” হাদি খুনের নেপথ্যে থাকা ‘রাঘববোয়ালদের’ নাম প্রকাশের দাবি জানিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, খুনিদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হলে এই সরকার ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকবে না।

আইন উপদেষ্টার কড়া সমালোচনা করে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, জুলাই বিপ্লবের আসামিদের জামিন হওয়ার দায় আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না। শাহবাগ অবরোধের কারণে জনগণের ভোগান্তির অভিযোগকে তিনি ‘অপপ্রচার’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, হাদির হত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিন দুপুর থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছে ইনকিলাব মঞ্চ। গত কয়েক দিনের মতো সোমবারও দুপুর সোয়া ২টা থেকে তারা শাহবাগে অবস্থান নেন, যা রাজধানীর যানচলাচলে বড় প্রভাব ফেলে। তবে আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, বিকল্প পথ খোলা রেখেই তারা ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই করছেন।

মানবকন্ঠ/আরআই