
ঘরের মাঠে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক স্মরণীয় ফুটবল ম্যাচে ব্রাজিলকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে জাপান। এই জয় ছিল জাপানের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ এর আগে সেলেসাওদের বিপক্ষে ৯ ম্যাচে মাঠে নেমেও তারা জয়শূন্য ছিল। দশম দেখায় অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিতে সক্ষম হলো এশিয়ার দেশটি।
ম্যাচের আগে ব্রাজিলের কোচ আনচেলত্তি জানিয়েছিলেন যে তিনি এই ম্যাচে বেশ কয়েকজন ফুটবলারের পরীক্ষা নেবেন, আর এই সুযোগটি জাপান পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে তারা নিজেদের প্রথম জয়টি তুলে নিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে।
ম্যাচের বিবরণ:
ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাজিল দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকে। তাদের টানা আক্রমণে জাপানের রক্ষণভাগ চাপে থাকলেও, গোলের দেখা পেতে কিছুটা সময় লাগে। ২৬তম মিনিটে ডিফেন্ডার পাউলো হেনরিক দলকে এগিয়ে দেন। এর ৬ মিনিট পর স্ট্রাইকার গাব্রিয়েল মার্টিনেলি লুকাস পাকুইতার অ্যাসিস্টে ব্যবধান ২-০ করেন। প্রথমার্ধে এই ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় জাপান।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে যেন এক নতুন জাপানকে দেখা যায়। বিরতির পরেই চমক দেখায় স্বাগতিকরা। ৫২তম মিনিটে তাকুমি মিনামিনো জাপানের হয়ে প্রথম গোলটি করেন, যা তাদের খেলায় ফিরিয়ে আনে। প্রথম গোল হজমের পর ব্রাজিলিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তি তিনটি পরিবর্তন আনেন; মার্টিনেলি, ভিনিসিয়ুস ও গুমারেসকে তুলে রদ্রিগো, কুনাহ ও জোয়েলিটনকে মাঠে নামান।
কিন্তু এই পরিবর্তনের সুফল পাওয়ার আগেই ব্রাজিল আরও দুটি গোল হজম করে। ৬২ মিনিটে কেইটো নাকামুরা জাপানকে সমতায় ফেরান এবং এরপর ৭১ মিনিটে আইসে উয়েদা গোল করে জাপানকে লিড এনে দেন।
শেষদিকে ব্রাজিল গোল পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠলেও, জাপানের জমাট রক্ষণ ভেঙে সমতায় ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সেলেসাওদের। এই জয় জাপানের ফুটবল ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।
Comments