
৫১ রানে প্রথম উইকেটে, ১৩৩ রানে শেষটি। মিরপুরের কালো উইকেটে এমন অদ্ভুতুড়ে ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়ে হার দিয়ে ওয়ানডে শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আফগানিস্তানের কাছে বাজেভাবে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জামোচন আর বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার জন্য র্যাংকিংয়ে উন্নতি- এই দুই উদ্দেশ্য মাথায় নিয়ে উইন্ডিজদের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে স্কোরটা বড় না হলেও রিশাদের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ছয় উইকেটের কল্যাণে ৭৪ রানের জয় দিয়েই শুরু হলো সিরিজটি।
মিরপুরে ক্যারিবীয়দের নাচিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিলেন রিশাদমিরপুরে ক্যারিবীয়দের নাচিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিলেন রিশাদ
২০৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। বেন্ডন কিং ও অ্যালিক আথানাজে মিলে জুটিতে তুলেছিলেন ৫১ রান। সেটিও ভালো রান রেটেই। এই জুটি ভাঙেন রিশাদ। এর পর কিয়েসি কার্টিকে নিয়ে দলকে আরও কিছুক্ষণ টানেন কিং। নিজের পর পর দুই বলে প্রথম কার্টি ও পরে ৪৪ রান করা কিংকে ফেরান রিশাদ। ওই থেকে ম্যাচে ফেরা শুরু বাংলাদেশের। উইন্ডিজের তখন ৮২ রান। এর পর শেরফান রাদারফোর্ড ও রোস্টন চেজকে ফিরিয়ে রিশাদ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের আগের ১১ ম্যাচে রিশাদ হোসেনের সব মিলিয়ে উইকেট ছিল ১০।
অস্ট্রেলিয়া-ভারত ম্যাচের আগেও হ্যান্ডশেক প্রসঙ্গ, মিচেল মার্শ নীরবঅস্ট্রেলিয়া-ভারত ম্যাচের আগেও হ্যান্ডশেক প্রসঙ্গ, মিচেল মার্শ নীরব ওই ধারাবাহিকতায় মিরাজ, তানভীর ও মোস্তাফিজ শিকার করেন আরও চার উইকেট। ১২২ রানে ৯ উইকেট খুইয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে সফরকারীরা। শেষে জেয়ডেন সিলসকে নিজের ষষ্ঠ শিকার বানিয়ে বাংলাদেশকে ৭৪ রানের জয় এনে দেন রিশাদ। এর আগে তাওহীদ হৃদয়ের ৫১ ও মাহিদুল অংকনের ৪৬ রানের সুবাদে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান তরে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেলেছিলেন রিশাদ।
Comments