Image description

দীর্ঘ ২৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে সর্বশেষ সেখানে টেস্ট খেলেছিল টাইগাররা। এরপর ২২ বছর কেটে গেলেও আর সুযোগ মেলেনি। তবে ২০২৬ সালের আগস্টে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফর করবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আর এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে প্রায় ১৬২ কোটি টাকার এক নতুন ‘মঞ্চ’।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের মাধ্যমেই অস্ট্রেলিয়ার ১২তম টেস্ট ভেন্যুর অভিষেক হতে পারে। কুইন্সল্যান্ডের ম্যাকাই শহরের ‘গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনা’ টেস্ট ভেন্যু হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে বেশ এগিয়ে আছে। এই স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে রাজ্য সরকার ২ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬২ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে। এখানে ১০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা, আধুনিক সম্প্রচার কক্ষ ও বিশ্বমানের ট্রেনিং সুবিধা তৈরি করা হচ্ছে।

কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার ডেভিড ক্রিসাফুল্লি বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত করেছেন। টিপিএম রেডিওতে তিনি বলেন, “১৯৭৬-৭৭ মৌসুমের পর এবারই প্রথম ব্রিসবেনের গাব্বায় টেস্ট হচ্ছে না। তবে কুইন্সল্যান্ড বঞ্চিত হচ্ছে না। আমরা একটি টেস্ট পাচ্ছি, সেটি হবে ম্যাকাইয়ে এবং প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।”

আগস্ট মাসে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে শীত থাকায় উত্তরাঞ্চলের উষ্ণ আবহাওয়া বিবেচনায় ম্যাকাই ছাড়াও কেয়ার্নস, ডারউইন ও টাউনসভিল ভেন্যুর তালিকায় রয়েছে। ক্রিকেট নর্দার্ন টেরিটরির প্রধান নির্বাহী গ্যাভিন ডোভি ডারউইনে ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও, বিশাল বিনিয়োগের কারণে ম্যাকাইয়ের পাল্লাই ভারী।

উল্লেখ্য, ২০২৬-২৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সূচি কিছুটা ভিন্ন। গ্রীষ্মে মাত্র চারটি টেস্ট থাকায় এবং গাব্বায় খেলা না থাকায় ম্যাকাইয়ের নতুন এই ভেন্যুটিই হতে পারে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া লড়াইয়ের সাক্ষী।