আমেরিকান মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) নিজের আধিপত্য বজায় রেখে আবারও ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসি। লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ বা সবচেয়ে মূল্যবান ফুটবলারের (এমভিপি) পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এর আগে এমএলএসে কোনো ফুটবলার টানা দুই বছর এই সম্মান অর্জন করতে পারেননি।
মাত্র তিন দিন আগেই ইন্টার মায়ামিকে তাদের ইতিহাসের প্রথম এমএলএস কাপ শিরোপা জেতানোর নায়ক ছিলেন মেসি। ফাইনালে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩–১ গোলে হারায় মায়ামি। সেই ম্যাচে গোল না পেলেও সতীর্থদের দিয়ে দুটি গোল করিয়ে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। এছাড়া এই মৌসুমে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ‘গোল্ডেন বুট’ও উঠেছে তার হাতে।
এবারের মৌসুমে মায়ামির জার্সিতে মেসির পরিসংখ্যান ছিল ঈর্ষণীয়। ৩৪ ম্যাচে তিনি ৩৫টি গোল করেছেন এবং করিয়েছেন ২৮টি। অর্থাৎ, দলের মোট ১০১টি গোলের মধ্যে ৬৩টিতেই ছিল বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়কের সরাসরি অবদান। এমভিপি নির্বাচনের ভোটেও তার এই দাপট প্রতিফলিত হয়েছে। মেসি পেয়েছেন ৭০ শতাংশের বেশি ভোট, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সান দিয়েগোর উইঙ্গার অ্যান্ডার্স দ্রেয়ার পেয়েছেন মাত্র ১১ শতাংশ ভোট।
পুরস্কার জয়ের পর মেসি বলেন, “আমরা এই ক্লাবে আসার পর শীর্ষে ওঠা ছিল অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের লক্ষ্য ছিল এমএলএস কাপ জয় এবং মায়ামিকে সবার ওপরে তোলা।”
ইন্টার মায়ামির সঙ্গে ৩৮ বছর বয়সী এই তারকার সম্পর্ক আরও দীর্ঘ হচ্ছে। সম্প্রতি তিনি ২০২৮ সাল পর্যন্ত ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন। বয়স ও ব্যস্ত সূচি নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও, মায়ামিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একইসঙ্গে জানা গেছে, ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মাঠ মাতাবেন।
ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত রেকর্ড ৪৮টি ট্রফি জিতেছেন মেসি। ব্যক্তিগত অর্জনে তার ঝুলিতে রয়েছে ৮টি ব্যালন ডি’অর, ৩টি ফিফা দ্য বেস্ট, বিশ্বকাপে ২টি গোল্ডেন বল এবং ৬টি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন স্যুসহ অসংখ্য সম্মাননা। টানা দ্বিতীয় এমভিপি জয় তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের মুকুটে যুক্ত করল আরও একটি নতুন পালক।




Comments