Image description

অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো নাটকীয় ফাইনালে ৩–২ গোলের রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিয়ে জর্ডানকে হারিয়ে আরব কাপের শিরোপা জিতেছে মরক্কো। উত্তেজনা আর নাটকীয়তায় ভরা এই ম্যাচটিকে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাইনাল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

ফাইনাল ম্যাচে নিজেদের অভিজ্ঞতা, স্কোয়াডের গভীরতা ও জয়ী মানসিকতা দেখায় মরক্কো। অন্যদিকে, প্রথমবারের মতো বড় কোনো ফাইনালে ওঠা জর্ডানও সাহস ও দৃঢ়তায় সব প্রত্যাশা ছাপিয়ে যায়। তবে মরক্কো সংকটের মুহূর্তে নিজেদের পরিপক্বতা ও মানসিক শক্তির প্রমাণ দিয়েছে। 

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল মরক্কো। ওসামা তানানের দৃষ্টিনন্দন গোলে দ্রুত লিড নেয় তারা।  প্রথমার্ধে বলের দখল ও ছন্দ নিয়ন্ত্রণে রেখে ম্যাচ খেলে মরক্কো। তবে ধৈর্য ধরে সুযোগের অপেক্ষায় থাকে জর্ডান। 

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের চিত্র পুরোপুরি বদলে যায়। জর্ডানের আলি ওলওয়ান হয়ে ওঠেন নায়ক। তার করা দুই গোল স্কোরলাইন উল্টে দেয় এবং মরক্কো শিবিরে মানসিক চাপ তৈরি করে। জর্ডানের ঐতিহাসিক শিরোপার স্বপ্ন তখন বাস্তব মনে হচ্ছিল। এই সময়ে ভয়হীন ফুটবল খেলেছে জর্ডান। 

যখন ম্যাচের গতি জর্ডানের দিকে, তখন মরক্কোর ত্রাতা হয়ে আসেন আবদাররাজাক হামদাল্লাহ। বদলি হিসেবে নেমে তিনি বদলে দেন ম্যাচের ভাগ্য। শেষ মুহূর্তে তার সমতা সূচক গোল ছিল জর্ডানের জন্য অস্বস্তির। 

অতিরিক্ত সময়ে অভিজ্ঞতার জোরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় মরক্কো। হামদাল্লাহর দ্বিতীয় গোলেই নিশ্চিত হয় শিরোপা। এই জয়ে মরক্কো তাদের দ্বিতীয় আরব কাপ শিরোপা জিতল। তাতে আঞ্চলিক পর্যায়ে নিজেদের অবস্থান আরও সুসংহত করল তারা। আর হারলেও গর্ব নিয়ে মাঠ ছাড়ে জর্ডান।