Image description

১ জানুয়ারি থেকে পূর্বাচলে শুরু হতে যাওয়া মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলায় প্লাস্টিক ব্যবহারের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। মেলায় খাবার পানির বোতল ছাড়া একবার ব্যবহার্য সব ধরনের প্লাস্টিক, পলিথিন ও প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।

একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই নির্দেশনা অমান্য করলে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো ধরনের সেরা প্যাভিলিয়ন বা স্টল পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।

সোমবার ত্রিশতম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

১ জানুয়ারি থেকে পূর্বাচলে শুরু হবে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা।  এদিন সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস মেলার উদ্বোধন করবেন।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, “এ বছরে উল্লেখ করার মতন একটি বিশেষ বিষয় হবে যে, এই বছরে মেলা থেকে আমরা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক তথা পলিথিন বর্জন করেছি। এ বছরের ৩০তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এই পূর্বাচলে পলিথিনের কোনো ব্যাগ অ্যালাউ করা হবে না।

যেসব স্টল নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস বহনে এ জাতীয় ব্যাগ ব্যবহার করবে, তাদের বিষয়ে সচিব বলেন, “যারা পলিথিনের ব্যাগ আনবে, ব্যাগে তাদের নিজস্ব পণ্য বহন করবে; তারাও ওই যে শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়ন, শ্রেষ্ঠ স্টল যে আমরা নির্বাচন করে তাদেরকে পুরস্কৃত করি, এবার তারা পুরস্কারের জন্য যোগ্য হবে না। বিবেচিত হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিদেশি উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে থাকবে ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে সিটিং কর্নার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে দুটি শিশু পার্ক।

পণ্য প্রসার ও বিপণনের জন্য মেলায় থাকবে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। নারী, প্রতিবন্ধী কুটির, তাঁত, বস্ত্র ও হস্ত শিল্পের উদ্যোক্তাদের সংরক্ষিত স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

এবার বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩২৪টি প্যাভিলিয়ন, স্টল দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভারত, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়ার মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত বছরের মেলায় মোট ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এ মেলা আয়োজন করছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

সংবাদ সম্মেলনে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ বলেন, “আসলে লে-আউট প্ল্যানে আমাদের এই ৩২৪টার জায়গা আমরা শর্ট করেছিলাম। যেটা গতবারের অভিজ্ঞতার আলোকে একটু আরো সুন্দর করার জন্য। যারা দর্শনার্থী আসবেন, তাদের যাতায়াত-বসা এসব ব্যবস্থা রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য।