Image description

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে। এশিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজনে এই দুই নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনায়ও বৈঠকটি আয়োজন করা হচ্ছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর এটিই দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে জানান, ট্রাম্প ও শি-এর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের সাইডলাইনে, যা চলবে ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর গিয়ংজুতে।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের একটি বেশ দীর্ঘ বৈঠকের সময়সূচি রয়েছে। আমরা অনেক প্রশ্ন ও সংশয় দূর করতে পারব। আমি মনে করি, কিছু না কিছু সমাধান অবশ্যই হবে। এটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।

চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও শুক্রবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনাকে সামনে রেখে বেইজিং আশাবাদী। তিনি বলেন, আগের আলোচনাগুলো প্রমাণ করেছে যে পরস্পরের উদ্বেগের বিষয়গুলো সমাধান করা সম্ভব, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও স্থিতিশীল ও টেকসই করবে।

ট্রাম্প তাঁর এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং-এর সঙ্গেও বৈঠক করবেন এবং একটি কর্মভোজে অংশ নেবেন। এছাড়া তিনি মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আসিয়ান সম্মেলনেও যোগ দেবেন এবং মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। বিশেষভাবে তিনি সাক্ষাৎ করবেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গেও।

ট্রাম্প ও শি এ বছর অন্তত তিনবার ফোনে কথা বলেছেন। সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে তারা যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনায় বসেন। দুই নেতা সর্বশেষ মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেছিলেন ২০১৯ সালে, ট্রাম্পের প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে করেন, শি-এর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র–চীন সম্পর্কের জটিল বিষয়গুলো সমাধান করা সম্ভব। যেমন শুল্ক, বাণিজ্য বিরোধ, ফেন্টানিল পাচারসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে কার্যকর উপায় তাদের সরাসরি কথা বলা।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মে মাসে হওয়া এক বাণিজ্য সমঝোতার মাধ্যমে বড় ধরনের শুল্কযুদ্ধ আপাতত এড়ানো গেছে। তবে চলতি অক্টোবরেই চীন বিরল খনিজের (রেয়ার আর্থ) রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করলে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, নভেম্বর থেকে চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

তিনি সামাজিক মাধ্যমে চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেইজিং বিশ্বকে “বন্দি করে রাখার” চেষ্টা করছে এবং “অত্যন্ত বৈরী” আচরণ করছে।

চীন বিশ্বের বিরল খনিজ উৎপাদনের শীর্ষ দেশ। এসব উপাদান গাড়ি, স্মার্টফোনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিপণ্যে ব্যবহৃত হয়।