Image description

আসন্ন নির্বাচনে কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাকে আর কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হবে না; বরং সরাসরি তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আয়োজিত এক কর্মশালায় এমন কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কমিশন কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না। এক্ষেত্রে আমরা কোনো শোকজ করব না। যিনি নিয়ম ভাঙবেন, তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, যেনতেনভাবে কোনো নির্বাচন আয়োজন করা হবে না। অনিয়ম রোধে ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে সবসময় তৎপর থাকবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী জরিমানা বা কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করবেন।

নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই পোস্টার বা ব্যানার সরানোর বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে কমিশন যা যা করা দরকার, তার সবই করবে।

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার জানান, কমিশনের নিজস্ব একটি মনিটরিং সেল থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত এই সেল যেকোনো পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা আশা রাখি, এবারের নির্বাচন একটি সর্বোত্তম ও দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন হবে।’

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. হাসানুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী প্রমুখ।