ঢাকার উত্তর বাড্ডার হাসান উদ্দিন রোড এলাকার একটি বাসা থেকে মোছা. তাহিয়া আক্তার মিন্নি (২০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে অভিমানে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তাহিয়া আক্তার দক্ষিণ খান আইনুস বাগ এলাকার আব্দুল আউয়ালের মেয়ে। বর্তমানে স্বামীর সাথে উত্তর বাড্ডা হাসান উদ্দিন রোড মিশ্রিটোলা মীর কাশেম আলীর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। তিনি এক ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
গৃহবধূর বাবা আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘খবর পেয়ে বাড্ডার ওই বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে আমার মেয়েকে হিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে অচেতন অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান আমার মেয়ে আর বেঁচে নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পারি স্বামী-স্ত্রীর কলহের জেরে অভিমানে আমার মেয়ে সিলিং ফ্যানে সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বাড্ডা থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।




Comments