Image description

গত পাঁচই অগাস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে একের পর এক চাঁদাবাজির কারণে রীতিমত আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানান ঢাকার ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে চাঁদাবাজির ধরণ পাল্টেছে, যে কেউ ফোন দিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে।  ব্যবসায়ীরা জানান যারা চাঁদা নিয়েছেন এবং এখনও দাবি করছেন, তারা প্রায় সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

তবে ব্যবসা ও নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের কারো নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি কেউ। অধিকাংশক্ষেত্রেই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী পরিচয়ে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দলটি ইতোমধ্যে প্রায় দেড় হাজারের মতো নেতাকর্মীকে বহিষ্কারও করেছে। কিন্তু তারপরও তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে দলটিকে।

এ অবস্থার জন্য সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকেই দুষছেন।

"আসলে বাংলাদেশের কালচারটাই নষ্ট করে দিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ," বলেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

বিএনপি'র বাইরে গত কয়েক মাসে কোনো কোনো জেলায় জামায়াতে ইসলামী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে।

এর মধ্যে ফেনীতে জেলা জামায়াতের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, সরকার চাঁদাবাজি বন্ধে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান।

"আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পুলিশকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে," বলেন মি. খান।

যশোর থেকে সবজিভর্তি ট্রাক নিয়ে ঢাকায় এসেছেন চালক সেলিম হোসেন। যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত আসতে পথে তাকে চাঁদা দিতে হয়েছে অন্তত চারটি পয়েন্টে।

"যশোর থেকে নড়াইলে ঢুকার পর একবার চাঁন্দা দিতি হয়। এরপর গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, তারপর ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঢুকে ৪০ টাকা, ৫০ টাকা করে চাঁন্দা দিয়া লাগে," বলছিলেন সেলিম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এখানেই শেষ নয়। সবজি নিয়ে কারওয়ান বাজারে পৌঁছানোর গাড়ি রাখার জন্য এই চালককে গুনতে হয়েছে আরও দুইশ' টাকা।

একই অভিযোগ করেন মোহাম্মদ সম্রাট নামের আরেকজন ট্রাক চালক। উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে কাঁচামাল নিয়ে তিনি প্রায়ই কারওয়ান বাজারে আসেন। "আগে নিতো আওয়ামী লীগ, এখন নেয় বিএনপি। টাকার মাফ নাই, বলেন মি. সম্রাট।

তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মহাসড়কে চাঁদাবাজি আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে বলে জানান এই চালক।

"আগে হয়তো সাত-আট জায়গায় টাকা দেওয়া লাগতো। এখন লাগে তিন-চার জায়গায়। পুলিশরে দেওয়া লাগতেছে না," বলেন মি. সম্রাট।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবজি, মশলা, মাছসহ নানান পণ্য নিয়ে প্রতিদিন কয়েকশ ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান আসে ঢাকায় সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজার কারওয়ান বাজারে।

বাজারে পণ্য আনার পর দুই ধাপে চাঁদার টাকা দিতে হয় বলে জানিয়েছেন গাড়ি চালক ও ব্যবসায়ীরা।

এর মধ্যে গাড়ি রাখার জন্য প্রথমধাপে আকারভেদে দিতে হয় একশ' থেকে তিনশ' টাকা। এরপর পণ্য খালাস করার জন্য ফের ট্রাকপ্রতি গুনতে হয় কমপক্ষে এক হাজার টাকা।

সাধারণত ঢাকার বাইরে থেকে যারা পণ্য নিয়ে বাজারে আসেন, টাকাটা তাদের পকেট থেকে যায় বলে ভুক্তভোগিরা জানান। "এসব কারণে ঢাকায় আসার পর সবজির দাম বেড়ে যায়। না হলে পোষাবে কী-করে?" বলছিলেন ব্যবসায়ী আমজাদ আলী (ছদ্মনাম)।

ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় মি. আলী নিজের প্রকৃত নাম প্রকাশ করতে চাননি। তিনি বলছিলেন যে, গণআন্দোলনের মুখে গত পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর কিছুদিন কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ ছিল।

"কারণ তখন ছাত্রগো ভয়ে কেউ সাহস পাইতো না। কিন্তু কিছুদিন যায়তে না যায়তেই আবার সব আগের মতো," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন ওই ব্যবসায়ী।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিএনপি'র অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী পরিচয়েই এখন চাঁদাবাজি করা হচ্ছে।

"কেউ আইয়া কয় যুবদল, কেউ ছাত্রদল। আরও আছে শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল। একেক সময় একেক গ্রুপ আহে," বলছিলেন বাজারের একজন আড়তদার।

"কয়জনরে টাকা দিমু? ওগো জ্বালাই আমরা অতিষ্ঠ," বলেন ওই আড়তদার।

তবে বিএনপি'র সুপরিচিত কোনো নেতা এখন পর্যন্ত সশরীরে এসে চাঁদার টাকা দাবি করেননি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

"বড় কেউ তো আসেনা। চামচারা আইসা কয়: ভাই পাঠাইছে, টাকা দেন," বলছিলেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন (ছদ্মনাম)।

চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হলেও নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ব্যবসায়ীদের বেশিভাগ সুনির্দিষ্ট করে চাঁদাবাজদের কারো নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।

"আমরা বাজান ছোটখাটো ব্যবসায়ী মানুষ। ওগো লগে পাঙ্গা নিয়া টিকতে পারুম না," বলেন মি. উদ্দীন।

"টাকা দিয়াই এদ্দিন ব্যবসা করছি, এহনও করন লাগবো; আমরা এডি মাইনা নিছি," এই বলে কথা শেষ করেন তিনি।

তবে ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ অবশ্য চাঁদাবাজির সঙ্গে একই বাজারের ব্যবসায়ী ও যুবদল নেতা আব্দুর রহমানের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন।

"আম্লীগের নেতারা তো ভাগছে। এরপর হেরাই তো সমিতির অফিস দখল করছে। হেগো সম্মতি ছাড়া কেউ চাঁন্দা নিতে আইবো?," বলছিলেন কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী।

মি. রহমান ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজের ঘনিষ্ঠ বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কারওয়ান বাজারের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা ঢাকার গুলিস্তানের। প্রতিদিন সকাল হতেই গুলিস্তান মোড় ও এর আশপাশের সড়কের ফুটপাত দখল করেন হকাররা। দুপুর গড়াতেই মূল সড়কও দখলে চলে যায় তাদের। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সড়কে যেন তিল ধারণের জায়গা পাওয়া যায় না।

এ অবস্থায় চলাফেরায় ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারী ও গাড়ির চালকদের।

"সরকার চেঞ্চ হয়ে গেলো, কিন্তু গুলিস্তানের কোনো চেঞ্জ নাই। আগেও গাড়ি চলতে পারতো না, এখনও পারে না," বলছিলেন গাড়ি চালক শরিফুল ইসলাম।

একই কথা বলছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইফুর রহমান।

"গাড়ি তো দূরের কথা, বিকেলে এখান দিয়ে হেঁটে যাওয়ার মতো অবস্থাও থাকে না," বলেন তিনি।

স্থানীয়রা বলছেন, চাঁদাবাজিই গুলিস্তানের ফুটপাত ও সড়কের এই দুরাবস্থার জন্য দায়ী।

"এইডা এখন আর কোনো রাস্তা নাই। চাঁদাবাজির আখড়ায় পরিণত হইছে। খোঁজ নিয়ে দেখেন হকারদের কে কত টাকা দিয়ে তারপর বসছে," বলছিলেন গুলিস্তানের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম আসাদ।

"টাকাছাড়া কেউ এখানে বসতে পারে? আওয়ামী লীগ আমলে যা দিয়া লাগতো এখনও তা-ই দেওয়া লাগে," বলছিলেন হকারদের একজন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হকার জানিয়েছেন যে, তিনি পাঁচই অগাস্টের পর ফুটপাতে দোকান বসিয়েছেন। তিনি বলেন, "নগদ একলাখ টাকা গুইনা দিয়া তারপর এখানে বসছি," বলেন ওই হকার।

তবে যারা এককালীন নগদ টাকা দিতে পারেন না, তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে মাসিক কিস্তিতে।

আর চাঁদার টাকা দিতে না পারলে দোকান উচ্ছেদ করে সেখানে অন্য লোক বসানো হয় বলে জানিয়েছেন হকাররা। এই চাঁদাবাজির সঙ্গে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরাই জড়িত বলে দাবি করেন সেখানকার হকাররা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, "এর পেছনে আছে বিএনপির গুলিস্তান ইউনিটের শাকিল আর সেলিম। তারাই সবার ধারে টাকা চায়,"। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার হুমকি দিলে উল্টো তাকেই মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন গুলিস্তানের এই হকার।

"প্রতিবাদ করতে গেছি বলে আমারে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাইয়া জেলে ভরছে। প্রায় এক মাস জেলে খাইটা বের হইছি। এখনও হুমকি-ধামকি দেতেছে।

গুলিস্তানের ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে যেসব দোকান বসিয়ে থেকে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করা হয়, সেগুলোর সংখ্যা কমপক্ষে তিন হাজার বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চাঁদাবাজির ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের যেসব নেতাকর্মীর নাম সামনে এসেছে, তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা কেউই অভিযোগ স্বীকার করেননি।

এর মধ্যে যুবদল নেতা আব্দুর রহমান দাবি করেছেন যে, চাঁদাবাজির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

"আমি ব্যবসায়ী ফ্যামিলির ছেলে। আমাদের নিজেদেরই দোকান রয়েছে কাওরান বাজারে। আমি কেন চাঁদাবাজি করতে যাবো?,"বলছিলেন মি. রহমান।

পাঁচই অগাস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রায় সারা দেশেই আওয়ামীপন্থীদের স্থান দখল করে বাজার কমিটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিএনপিপন্থী ব্যবসায়িক নেতারা।

কারওয়ান বাজারেও সেটার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটনার পর সেখানকার কিচেন মার্কেটেও নতুন করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সেই কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন আব্দুর রহমান। এছাড়া তিনি যুবদলের তেজগাঁও থানার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব পদেও ছিলেন। যদিও চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর মি. রহমানকে সম্প্রতি দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

"এ ঘটনায় আমি ভীষণ ভেঙে পড়েছি। কোনো অপরাধ না করেও আমাকে শাস্তি পেতে হচ্ছে," বলেন মি. রহমান।

অপরাধ না করলে দল থেকে কেন তাকে বহিষ্কার করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আসলে গণমাধ্যমের খবরে আমাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার," দাবি করেন মি. রহমান।

এদিকে, মি. রহমান ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজের ঘনিষ্ঠ বলে সবার কাছে পরিচয় দেন বলে জানিয়েছেন কারওয়ার বাজারের ব্যবসায়ীরা।

বিষয়টি নিয়ে মি. মিরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমার এলাকার নেতা-কর্মীরা সবাই আমার কাছের। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।"

তার কিংবা দলের নাম ব্যবহার করে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাকে পুলিশে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সদস্যসচিব।

সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিষয়ে বিএনপি কঠোর অবস্থানে বলে বলছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। অভিযোগ পেলে সেগুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।

"এমনকি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আমরা পুলিশের হাতে পর্যন্ত তুলে দিচ্ছি," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

পাঁচই অগাস্টের পর দলটির বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও বিষয় নিয়ে একাধিকবার কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করতে দেখা গেছে।

দলীয় নির্দেশনা না মানায় গত সাত মাসে প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে দলটির ১২টিরও বেশি কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু তারপরও চাঁদাবাজির মতো ঘটনার সাথে দলটির নেতাকর্মীদের নাম কেন বার বার সামনে আসছে? প্রশ্ন ছিল দলটির সিনিয়র নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের কাছে।

"আসলে বাংলাদেশের কালচারটাই নষ্ট করে দিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ,"বলেন মি. আহমদ।

আওয়ামী লীগের দেখানো পথে বিএনপি নেতাকর্মীরা যেন না হাঁটেন, সেই প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান দলটির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের এই নেতা।

বিএনপি'র বাইরে গত কয়েক মাসে ফেনীতে জামায়াতে ইসলামীর জেলা পর্যায়ের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর জাকির হোসেন নামের ওই নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। মি. হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলাও হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে মি. হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

এছাড়া গত সাত মা্সে বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধেও চাঁদাজাবির অভিযোগ উঠেছে।

এর মধ্যে চলতি মার্চ মাসের শুরু দিকে রংপুরে নাহিদ হাসান খন্দকার নামে এক নেতার চাঁদা দাবির ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

জেলার হাজির হাট এলাকায় গ্রীন সিটি ইকো পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের এক কর্মকর্তার কাছে এক লাখ টাকা দর-কষাকষির ওই ভিডিও সামনে আসার পর অভিযুক্ত মি. খন্দকারকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয় প্ল্যাটফর্মটি।

মি. খন্দকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে, ইকোপার্ক কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

দলগুলো বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন।

পাঁচই অগাস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর শুধু বদল হয়েছে মানুষ, বদলেছে ব্যানার; নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে চাঁদাবাজি। এর থেকে কখনও রেহাই পাওয়া যাবে কি না, এই প্রশ্নের জবাব পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

মানবকণ্ঠ/আরআই