ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর গুলি চালানো মূল অভিযুক্ত এখনো দেশেই অবস্থান করছে। অভিযুক্ত যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে, সেজন্য তার পাসপোর্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
রোববার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
নজরুল ইসলাম জানান, হাদির ওপর হামলায় সন্দেহভাজন মূল অভিযুক্ত ফয়সালের পাসপোর্ট নম্বর পুলিশের হাতে এসেছে। ইমিগ্রেশন ডাটাবেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ফয়সাল সর্বশেষ থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন। এরপর তার দেশত্যাগের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই পুলিশ নিশ্চিত, সে দেশেই আছে এবং পলাতক অবস্থায় রয়েছে।
ডিএমপি জানায়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক। বাকি দুজন অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারে সহায়তাকারী (দালাল)। মূল আসামি যাতে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে, সেই তথ্য যাচাই করতেই এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘হাদির পরিবারের সদস্যরা তার চিকিৎসা ও হাসপাতালে অবস্থান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে আজ (রোববার) এর মধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করা হলে, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।’’
জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘দেশে লক্ষাধিক জুলাই যোদ্ধা রয়েছেন, তাদের সবার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে যাদের ওপর সুনির্দিষ্ট হুমকি (হাই থ্রেট) রয়েছে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।




Comments