Image description

রাজধানীর বাজারে শীতকালীন শাক-সবজি উঠতে শুরু করলেও প্রায় সব ধরনের সবজির দাম আগের মতোই চড়া রয়েছে। এর পাশাপাশি এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে, যা সাধারণ ভোক্তাদের জন্য নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে, যার কারণে দাম কিছুটা বাড়তি। প্রতি ডজনে ৫ টাকা বেড়ে এখন লাল ডিম ১৪৪ টাকায় এবং সাদা ডিম ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের সবজির চিত্র অনুযায়ী, প্রতি কেজি টমেটো ১২০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, শিম ২২০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৭০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা ও মুলা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, বেগুন ৮০-১২০ টাকা, কচুর মুখী ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ও শসা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ বর্তমানে কেজি প্রতি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারেও দামের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্যণীয়। প্রতি কেজি বোয়াল ৮০০-১০০০ টাকা, কোরাল ৮৫০-৯০০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, চাষের রুই ৩০০-৪৫০ টাকা ও কাতল ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ টাকা, চাষের ট্যাংরা ৬০০ টাকা, এবং পাবদা ও শিং ৪০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মুরগির বাজার স্থিতিশীল থাকলেও আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায়, সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়, লাল লেয়ার কেজি প্রতি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের ঘোষিত নতুন দরের সয়াবিন এখনো বাজারে আসেনি। ভোজ্যতেল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকায় এবং ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।