বিশ্ববাজারে ফের অস্থির হয়ে উঠেছে স্বর্ণের বাজার। যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের মান কমে যাওয়া এবং ট্রেজারি বন্ডের সুদহার হ্রাসের ফলে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারেও।
সোমবার স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৩৪৪ দশমিক ৪০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার দাম ২০২১ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির স্বর্ণের ফিউচারও ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৩৭৭ দশমিক ৪০ ডলারে লেনদেন হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত সপ্তাহে ডলার সূচক দুই মাসের সর্বনিম্নে নেমে আসায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে স্বর্ণ আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের ফলন কমে আসাও দাম বাড়াতে সহায়তা করেছে। বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত তথ্যের দিকে নজর রাখছেন।
আন্তর্জাতিক বাজারের এই উল্লম্ফনের প্রভাব দেশের বাজারেও দৃশ্যমান। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সর্বশেষ স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, যা সোমবারও (১৫ ডিসেম্বর) কার্যকর রয়েছে। বাজুস ভরিতে ৩ হাজার ৪৫৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজকের বাজার দর (১৫ ডিসেম্বর অনুযায়ী):
২২ ক্যারেট (সবচেয়ে ভালো মান): প্রতি ভরি ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা।
২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা।
১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা।
সনাতন পদ্ধতি: প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা।
ভোক্তা পর্যায়ে এই চড়া দামের কারণে স্বর্ণালঙ্কার কেনা সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।




Comments