আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ৪ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারের ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করার পর আজ সামান্য পতনের মুখ দেখেছে। বুধবার লেনদেনের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনা ৪ হাজার ৫২৫ দশমিক ১৮ ডলারের সর্বকালীন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। তবে দাম আকাশচুম্বী হওয়ার পরপরই বড় অংকের মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতায় দাম কিছুটা থিতু হয়েছে।

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, স্পট মার্কেটে সোনার দাম ০ দশমিক ২ শতাংশ কমে বর্তমানে আউন্স প্রতি ৪ হাজার ৪৭৯ দশমিক ৩৮ ডলারে অবস্থান করছে। কিটকো মেটালসের সিনিয়র বিশ্লেষক জিম উইকফ মনে করেন, রেকর্ড উচ্চতার পর বাজারে এখন স্বাভাবিক মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা চলছে। তবে মার্কিন সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে সোনার চাহিদা দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুদের হার কমানোর পক্ষে দেওয়া অবস্থান সোনার বাজারকে পরোক্ষভাবে সমর্থন জোগাচ্ছে।

কেবল সোনা নয়, রুপার বাজারেও আজ তীব্র উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে। সর্বকালের সর্বোচ্চ ৭২ দশমিক ৭০ ডলার ছোঁয়ার পর রুপার দাম কিছুটা কমে আউন্স প্রতি ৭১ দশমিক ৯৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরে রুপার দাম বেড়েছে অভাবনীয় ১৪৯ শতাংশ, যেখানে সোনার দাম বেড়েছে ৭০ শতাংশের বেশি। বিশ্লেষকদের ধারণা, বছরের শেষ নাগাদ রুপা ৭৫ ডলারের ঘর স্পর্শ করতে পারে। অন্যদিকে, প্লাটিনাম ২ হাজার ৩৭৭ ডলারের রেকর্ড গড়ে পরে ২ হাজার ২২০ ডলারে নেমে আসে। প্যালাডিয়ামের দামেও বড় পতন দেখা গেছে।

আন্তর্জাতিক বাজারের এই অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারেও। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) নির্ধারিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে সোনার বর্তমান মূল্য তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

২২ ক্যারেট: প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২ লাখ ২২ হাজার ৮৩ টাকা।

২১ ক্যারেট: ২ লাখ ১১ হাজার ৯৯৩ টাকা।

১৮ ক্যারেট: ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২৫ টাকা।

সনাতন পদ্ধতি: ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৯৯ টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, বিশ্ববাজারে দামের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলে স্থানীয় বাজারে সোনার দাম অচিরেই আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে পারে এই মূল্যবান ধাতু।