বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই। সোমবার সকালে মুম্বাইয়ের জুহুতে নিজের বাসায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতীয় চলচ্চিত্র অঙ্গনে। শোক জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুও ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ শেষযাত্রায় প্রবীণ অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন স্ত্রী হেমা মালিনী, মেয়ে ঈশা দেওল। এ ছাড়াও উপস্থিত হন অমিতাভ বচ্চন, আমির খান, সালমান খান,অনিল কাপুর, সঞ্জয় দত্তসহ অনেকে।
গত কয়েকদিন ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর গুজব ছড়াচ্ছিল। পরে এষা দেওল জানান, তার বাবার অবস্থা স্থিতিশীল। হেমা মালিনীও ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুয়া খবর ছড়ানোকে ‘অসম্মানজনক’ বলেন। তবে রোববার রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে ধর্মেন্দ্রকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর সকালে তিনি মারা যান।
১৯৩৫ সালে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্ম নেওয়া ধর্মেন্দ্রর প্রকৃত নাম ধর্মসিং দেওল। দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান তিনি। ছোটবেলা থেকে সিনেমার প্রতি ছিল প্রবল ঝোঁক। ১৯৬০ সালে ফিল্মফেয়ার ট্যালেন্ট প্রতিযোগিতায় জিতে মুম্বাইয়ে আসেন। ‘ফুল অউর পাথর’ তাঁকে রাতারাতি সুপারস্টার বানায়। পরের দুই দশকে তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক ‘শোলে’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘ধর্মবীর’, ‘দোস্ত’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’ প্রতিটি ছবিতে নিজেকে নতুনভাবে উন্মোচন করেন। সহ-অভিনেত্রী হেমা মালিনীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে ছিল বলিউডে আলোচিত ঘটনা। তারা একসঙ্গে করেছেন ৩০টির বেশি ছবি।
প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সংসারের সানি ও ববি দেওল বলিউডের পরিচিত মুখ। বহু প্রজন্মের দর্শকের ভালোবাসায় গড়া ধর্মেন্দ্রর ক্যারিয়ার।




Comments