দীর্ঘদিনের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করলেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান।
তৃণমূলের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বর্ষীয়ান নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন পার্নো। যোগদান শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তিনি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন। সংবাদমাধ্যমে পার্নো বলেন, ‘একটা সময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। তবে যেভাবে ভেবেছিলাম, বিষয়টি সেভাবে এগোয়নি। মানুষ মাত্রই ভুল করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে এবার নতুনভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’
পার্নো মিত্র ২০১৯ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান এবং বিজেপিতে যোগ দেন। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তবে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী তাপস রায়ের কাছে তিনি পরাজিত হন। নির্বাচনের পর থেকেই দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে পার্নোর অনুপস্থিতি নজর কেড়েছিল, যা তাঁর দল বদলের গুঞ্জনকে আরও উসকে দেয়।
২০০৭ সালে ‘খেলা’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখা পার্নো অঞ্জন দত্তের ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। এরপর ‘রাজকাহিনী’, ‘অপুর পাঁচালি’, ‘বেডরুম’-এর মতো অসংখ্য প্রশংসিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশের সিনেমাতেও কাজ করেছেন পার্নো। জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমের বিপরীতে ‘বিলডাকিনি’ চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় দুই বাংলাতেই প্রশংসিত হয়েছে।
তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, পার্নো অনেকদিন ধরেই বিজেপির কার্যকলাপে সক্রিয় ছিলেন না। এখন তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শামিল হতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পার্নোর এই দলবদল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি ও বিনোদন অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।




Comments