Image description

কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে ভোরের সকাল। সন্ধ্যা নামতেই শীতের ছোঁয়া, রাতে ঝরছে শিশির। ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। পাতলা কাঁথায় আর শীত মানছে না। হিমেল ঠান্ডা থেকে রক্ষায় চাই লেপের উষ্ণতা।

শীতের আগমনী বার্তায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। 

সরেজমিন সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, প্রায় অর্ধশত লেপ-তোশকের দোকানে জমজমাট বেচাকেনা। শীত মৌসুমে রেডিমেড লেপ-তোশক তৈরি করে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়রা জানান, শীতের আগমনে আগাম লেপ-তোশক বানানোর ধুম পড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্তরা কম্বল কিনতে যাচ্ছেন বড় কাপড়ের দোকানে। তবে তুলা, কাপড়, ফোম ও মজুরি মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ কিছুটা বেড়েছে।

চারঘাট বাজারের কারিগর মঞ্জু রহমান বলেন, ‘পুরো বছরের চেয়ে শীতে বেচাকেনা বেশি হয়। শীত আসার আগেই লোকজন লেপ বানাতে শুরু করেছে। আমরাও ব্যস্ত। শীত বাড়লে ব্যবসা আরও বাড়বে।”’

সারদা ইউনিয়নের খোর্দ্দগোবিন্দপুর গ্রামের পাশু বেওয়া বলেন, ‘নতুন লেপ বানানোর সামর্থ্য নেই। পুরোনো লেপ সেলাই করে ব্যবহার উপযোগী করছি।’

মিয়াপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘নতুন লেপের খরচ অনেক। পুরোনো লেপ ধুনিয়ে বাড়তি তুলা দিয়ে নতুন কাপড়ে মুড়িয়ে নিচ্ছি। খরচ অর্ধেকেরও কম।’

কারিগররা জানান, শীতে তাদের কাজ সবচেয়ে বেশি। একজন শ্রমিক দৈনিক ৪-৫টি লেপ সেলাই করতে পারেন।

দোকান মালিকরা বলেন, ‘মুনাফা ও বিক্রির আশায় দিনরাত পরিশ্রম করছেন। শীত এগোলে কাজ আরও বাড়বে। আগে বড় লেপ তৈরিতে ১৫০০-১৮০০ টাকা লাগত, এখন ২৫০০-২৬০০ টাকা। এতে লাভ কমে গেছে।
শীতের আগমনে চারঘাটের প্রতি গ্রামে লেপ ধুননের শব্দ আর নতুন কাপড়ের ঘ্রাণ ভেসে বেড়াচ্ছে। রোদে শুকানো তুলার ফাঁকে হাসিমুখে কাজ করছেন ধুনকররা।