
সংগৃহীত ছবি
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণ চলাকালীন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ওয়াকআউট করেছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই বেশিরভাগ কর্মকর্তা ও কূটনীতিক হল ত্যাগ করেন।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, শুধু আরব ও মুসলিম দেশগুলোই নয়, আফ্রিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরাও অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।
ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, ৫০টির বেশি দেশের শতাধিক কূটনীতিক ওয়াকআউট করেছেন। যারা চেয়ারে বসে ছিলেন তাদেরও অনেককে হাততালি দিয়ে উদ্যাপন করতে দেখা যায়।
একাধিক গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের জন্য সংরক্ষিত চেয়ারগুলোও ফাঁকা। তবে এটি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি। বাংলাদেশ সরকার বা দূতাবাসের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এছাড়া এক্স প্ল্যাটফর্মে একটি তালিকা শেয়ার করা হচ্ছে। যদিও এটি কীভাবে যাচাই করা হয়েছে সেটি পরিষ্কার নয়। আর এ ব্যাপারে কোনো দেশই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইচ্ছে করেই গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া ভণ্ডুল করছে বলে বিবৃতি দিয়েছে হামাস। সংগঠনটির দাবি, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নেতানিয়াহুর বক্তব্যের আগেই কূটনীতিকদের উঠে যাওয়া প্রমাণ করে ইসরাইল বিশ্ব থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধানের মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কট করা বিশ্ব থেকে ইসরাইলের বিচ্ছিন্নতারই একটি প্রকাশ।’
এছাড়া হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জত আল-রিশক বলেন, ‘নেতানিয়াহু ঘিরে এখন কেবল একদল চিয়ারলিডার দলই আছে, যারা জাতিসংঘের সভাকক্ষে ঢুকে শুধু গণহত্যার পক্ষে হাততালি দিয়েছে।’
এক বিবৃতিতে হামাসের এই জ্যেষ্ঠ নেতা অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহু আবারও ‘গণহত্যা, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও পরিকল্পিতভাবে অনাহারে রাখার মতো অপরাধকে অস্বীকার করে মিথ্যা ও স্পষ্ট অস্বীকৃতি’ জানিয়েছেন।
Comments