
ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অবৈধ তহবিল গ্রহণ ও অপরাধের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে তাকে পাঠানো হয়।
ফরাসি ইতিহাসে এটি এক নজিরবিহীন ঘটনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টকে কারাগারে যেতে হলো।
৭০ বছর বয়সী সারকোজি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় গাদ্দাফি সরকার থেকে কোটি কোটি ইউরো অবৈধভাবে গ্রহণ করেছিলেন তিনি ও তার সহযোগীরা।
দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার পর ফরাসি আদালত তাকে ‘ক্রিমিনাল অ্যাসোসিয়েশন’ বা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সাজা দেয়, যার মধ্যে দুই বছর স্থগিত এবং তিন বছর কারাভোগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২১ অক্টোবার মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় সারকোজি তার বাসভবন থেকে বেরিয়ে লা সান্তে কারাগারে প্রবেশ করেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে কারাগারের আইসোলেশন সেলে রাখা হয়েছে, যার আয়তন প্রায় ৯ বর্গমিটার।
রায়ের বিরুদ্ধে সারকোজি আপিল করেছেন। তবে আদালত জানায়, আপিল প্রক্রিয়া চললেও সাজা কার্যকর থাকবে। তার আইনজীবীরা রায়কে ‘অন্যায্য’ ও ‘রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত’ বলে দাবি করেছেন।
সারকোজি বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমি একজন নির্লজ্জ মানুষ নই।’
অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায় শুধু একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের পতন নয় এটি ফরাসি বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।
Comments