Image description

বাংলাদেশ হারল তাদের ইতিহাসের প্রথম সুপার ওভারে। সুপার ওভারে ১১ রানের লক্ষ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে ৯ রানে আটকে দিলো ক্যারিবীয়রা।

মুস্তাফিজুর রহমানকে তুলে দেওয়া হয় সুপার ওভারটা। প্রথম বল থেকে এক রান নেয় উইন্ডিজ। দ্বিতীয় বলে শেরফান রাদারফোর্ড ডিপ এক্সট্রা কভারে ক্যাচ দেন সাইফ হাসানকে। তৃতীয় বলে নতুন ব্যাটার ব্রেন্ডন কিং নেন ২ রান। চতুর্থ বলে কিং ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন কভারে, তবে ক্যাচটা নিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ, ১ রান নিয়ে নেয় উইন্ডিজ। পঞ্চম বল থেকে এল ২ রান। শেষ বলে হোপের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় বাউন্ডারিতে। উইন্ডিজ সুপার ওভার থেকে পায় ১০ রান, জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১ রানে। 

স্বাগতিকদের হয়ে ব্যাট করতে নামেন সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। প্রতিপক্ষ বোলিংয়ের জন্য আনে আকিল হোসেইনকে। তিনি প্রথম বলই করে বসেন ওয়াইড। এরপরের বলে মিড উইকেটে উড়িয়ে মেরে ২ রান নেন সৌম্য সরকার। সে বলটা নো ডেকে বসেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। ফ্রি হিটে অবশ্য ১টি রানই নিতে পেরেছেন সৌম্য। তবে তাতে ক্ষতি খুব একটা তখনও হয়নি। ১ বল থেকেই যে ৫ রান এসে পড়েছে!

তবে সাইফ স্ট্রাইকে এসে প্রথম বলটা মিস করেন, প্রথম ডটটা দেয় বাংলাদেশ। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেন সাইফ। ৩ বলে সমীকরণ নেমে আসে ৫ রানে। চতুর্থ বলে সৌম্য সরকার বিদায় নেন ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে। ২ বলে প্রয়োজন ছিল ৫ রানের। তখন নাজমুল হোসেন শান্ত নেমে নেন সিঙ্গেল। প্রয়োজন নেমে আসে ১ বলে ৪ এ। সেই মুহূর্তে আকিল হোসেইন দেন আরও এক ওয়াইড। শেষ বল থেকে আসে মোটে ১ রান। ফলে সুপার ওভার থেকে ৯ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। ম্যাচটা শেষ করে হার দিয়ে।

তার আগে উইন্ডিজকে অবিশ্বাস্য এক জয় উপহার দিয়েই দিচ্ছিলেন শেই হোপ, আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশের সব ‘আশা’ কেড়ে নিচ্ছিলেন। তার ব্যাটে চড়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজ আশা দেখছিল জয়ের। ঠিক সেই সময় পথ আগলে দাঁড়ালেন সাইফ হাসান। শেষ ওভারে ৫ রান প্রয়োজন ছিল। তিনি দিলেন ৪ রান। আর তাতেই খেলাটা গড়াল গিয়ে সুপার ওভারে।