Image description

ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানের কথা আবারো পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের একই ভাবে বিবেচনা করা হবে এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাস মদদ অব্যাহত থাকলে তা তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

সোমবার এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, আমরা আগেই বলেছি, আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না, রক্ত ও পানি একসঙ্গে চলবে না। শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে ততক্ষণ পর্যন্ত সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের একইভাবে বিবেচনা করা হবে।

তিনি পাকিস্তানকে সতর্ক করে জানান, অপারেশন ‘সিন্দুর’কে ‘৮৮ ঘণ্টার ট্রেলার’ হিসেবে দেখছেন এবং ভারতের সশস্ত্র বাহিনী তাদের প্রতিবেশী দেশের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ শেখাতে প্রস্তুত রয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধান আরও বলেন,ভারত উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগোচ্ছে। কেউ আমাদের পথে বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।

পারমাণবিক হুমকির প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, আজকের ভারত কোনো ব্ল্যাকমেইলে ভয় পায় না। ভারতের সন্ত্রাস মোকাবিলার ‘নিউ নরমাল’ এখন পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

জেনারেল দ্বিবেদী জানান, দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশের প্রতিরোধ সক্ষমতা বাড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আমাদের প্রতিরোধশক্তি খুবই শক্তিশালী ও কার্যকর। চীনকে ঘিরে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, গত এক বছরে দুই দেশের নেতৃত্বের আলোচনার ফলে সম্পর্ক কিছুটা উন্নতি পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার মামলার রায়
জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেন, ২০১৯ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর সেখানে রাজনৈতিক স্পষ্টতা এসেছে এবং সন্ত্রাসবাদ অনেকাংশে কমেছে। মণিপুরের উন্নতিশীল পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে সেনাপ্রধান ইঙ্গিত দেন, প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুও সেখানে সফর করতে পারেন।