ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের একটি নার্সিং হোমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মানাদো শহরের ফায়ার অ্যান্ড রেস্কিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু জানান, রোববার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩১ মিনিটে রাজধানী মানাদোর ওই নার্সিং হোমটিতে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করা হলেও ১৬ জন বাসিন্দাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের অধিকাংশের মরদেহ তাঁদের নিজ নিজ ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তখন প্রবীণ বাসিন্দারা নিজ কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন বা ঘুমাচ্ছিলেন। শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে না পারায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনটি থেকে ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধারকৃতদের ও আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুনের লেলিহান শিখা পুরো ভবনটিকে গ্রাস করে নিয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত অবস্থায় প্রবীণদের সরিয়ে নিতে সাহায্য করছেন।
ইন্দোনেশিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। চলতি মাসেই রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুনে ২২ জন নিহত হন। এ ছাড়া গত বছর একটি নিকেল কারখানায় বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাকে প্রায়শই এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
নার্সিং হোমে অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে বর্তমানে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।




Comments