Image description

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এসে এক বিরল ও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকার গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে এই শীর্ষ পর্যায়ের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

২০২৫ সালের এপ্রিলে কাশ্মীরের পেহেলগাম ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এটিই দুই প্রতিবেশী দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠক। কূটনৈতিক মহলে এই সাক্ষাৎকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি এই বৈঠককে একটি ‘বড় ব্রেকথ্রু’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। বৈঠকের পর স্পিকার আয়াজ সাদিকও এক টুইট বার্তায় একে বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। বুধবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় পাকিস্তানের স্পিকার আয়াজ সাদিক শরিক হন। পরে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে চন্দ্রিমা উদ্যানে স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে এই ‘আপসহীন নেত্রীকে’ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।

বেগম খালেদা জিয়ার অন্তিম বিদায়ে বাংলাদেশে বর্তমানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। শোকের এই আবহেই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকটি দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে নতুন কোনো মোড় নিয়ে আসে কি না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর রাজপথে হাজার হাজার নিরাপত্তা কর্মীর কড়া প্রহরা এবং লাখো মানুষের অশ্রুসিক্ত বিদায়ের মাঝে এই কূটনৈতিক তৎপরতা ছিল বুধবারের অন্যতম আলোচিত বিষয়।

মানবকন্ঠ/আরআই