Image description

নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে অব্যাহতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শুনানিকালে এই নেতা ট্রাইব্যুনালকে বলেন, আল্লাহর পরই আপনাদের প্রতি আমার সম্মান।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল ফজলুর রহমানের আদালত অবমাননার বিষয়ে শুনানি হয়।

এদিন বেলা ১১টার দিকে আইনজীবীদের বহর নিয়ে ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির হন ফজলুর রহমান।

শুনানি চলাকালে ট্রাইব্যুনালকে ফজলুর রহমান বলেন, আমার বয়স ৭৮ বছর। জীবনে কখনো এমন কিছু বলিনি। এই কথা এমন হবে বুঝতে পারিনি। আল্লাহর পরই আপনাদের প্রতি আমার সম্মান রয়েছে।

এসময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবেন। আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। সিনিয়র আইনজীবী। আপনার কাছে এ ধরনের বক্তব্য আশা করি না। আপনি সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবেন।

এদিন ফজলুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

শুনানির শুরু থেকে দাঁড়িয়েছিলেন ফজলুর রহমান। পরে আইনজীবীর মাধ্যমে অনুমতি নিয়ে বসেন তিনি। একপর্যায়ে টেলিভিশন টকশোতে গিয়ে নিজের দেওয়া বক্তব্যের জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে অনুকম্পা চান বিএনপির এ নেতা। একইসঙ্গে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। পরে তাকে সতর্ক করে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।

অভিযোগে বলা হয়, একটি টকশোতে ফজলুর রহমান বলেছেন- এই কোর্টের গঠনপ্রক্রিয়া বলে, এই কোর্টে বিচার হইতে পারে না। এই কোর্টে যারা বিচার করছেন, আমার ধারণা এদের মধ্যে ভেতরে একটা কথা আছে।

পরে ৩০ নভেম্বর এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, এ ট্রাইব্যুনাল মানি না- এমন বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের ওকালতির লাইসেন্স আছে কি না সে প্রশ্নও করেন তিনি।

একইসঙ্গে ফজলুর রহমানকে ৮ ডিসেম্বর সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।