ভারত সরকার ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক ও বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখছে বলে দাবি করেছেন ভারতের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রী রাধা দত্ত। তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবছে ভারত, এবং আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে প্রতিবেশী এই দেশ।
ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও সাম্প্রতিক অভ্যুত্থান নিয়ে নিজের মতো করে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। এই ধরনের কার্যক্রমকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অনেক রাজনীতিক।
জুলাই মাসে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখতে বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে একাধিকবার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে, এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। অধ্যাপক শ্রী রাধা দত্তের মতে, ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। তিনি আরও মনে করেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের জন্য কোনো নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি হবে না, এমন নিশ্চয়তা প্রদান করা প্রয়োজন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই ভারতের এই পদক্ষেপকে তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সম্পর্কের ওপর।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছে। শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এই পুনর্মূল্যায়নের অংশ হতে পারে। তবে, ভারতের এই অবস্থান কতটা দীর্ঘমেয়াদি হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে, পাঁচ বছর পর বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।




Comments