
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন প্রায় ২৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি নির্বাপন করা সম্ভব হয়নি। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম নিশ্চিত করেছেন যে, বিমানবন্দরের আট নম্বর গেটের পাশে কেমিক্যাল গোডাউন থেকে এখনও ধোঁয়া উড়ছে।
তিনি জানান, আগুন এখনও পুরোপুরি নির্বাপন হয়নি এবং তারা কাজ করছেন। নির্বাপন হলে তা জানানো হবে। শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে পৌনে ২টার মধ্যে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এরপর আগুন কার্গো ভিলেজের তিনটি অংশের দুটিকে পুড়িয়ে দেয় এবং আট নম্বর গেটের কেমিক্যাল গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিজি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কথা জানালেও, নির্বাপনে সময় লাগবে বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে রাত পেরিয়ে দুপুর হলেও তার বক্তব্য বাস্তব হয়নি।
এদিকে, এই ঘটনার পর শনিবার রাত ৯টা থেকে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তাদের আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইজন, আনসারের ২৫ জন এবং অন্যান্য সংস্থার ১০ জন মিলে মোট ৩৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা, বেসামরিক বিমান চলাচল উপদেষ্টা ও বিজিএমই’র সভাপতি। তারা পরিদর্শন শেষে দুপুরে সংবাদ মাধ্যমগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
এটি শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের প্রথম ঘটনা নয়। তবে এই প্রথম কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলো। ঘটনাটি বড় হলেও তেমন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জানা গেছে, এই ঘটনায় শনিবার দুপুর থেকে রাত অবধি ডিএমপির পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য যুক্ত ছিল। এছাড়াও উত্তরা বিভাগের ছয়টি থানার পুলিশ সদস্যদের এই কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল। নৌ বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, আনসার, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করেছেন, যার ফলে দ্রুত এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
Comments