Image description

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তিন ইউনিটবিশিষ্ট ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটই বন্ধ হয়ে গেছে। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে চালু থাকা একমাত্র ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এক নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ২০২০ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুই নম্বর ইউনিট।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তিনটি ইউনিট বন্ধ হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহেও কোনো ইউনিট মেরামত করা সম্ভব নয়। ফলে এক সপ্তাহ এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে না। বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এক নম্বর ইউনিটটি এ সপ্তাহের মধ্যে চালু হতে পারে। তিন নম্বর ইউনিট কবে চালু করা সম্ভব হবে এটি বলা যাচ্ছে না।

২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি চালু অবস্থায় প্রতিদিন গড়ে ১৬০ থেকে ১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। তৃতীয় ইউনিটের গভর্নর ভাল্ব স্টিম সেন্সরের চারটি টারবাইন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট দিয়ে প্রতিদিন ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছিল। সেটিও গত শনিবার রাতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। জনজীবনে দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি। বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে বিপাকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।