
খাগড়াছড়িতে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা উপর্সগ নিয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এক সপ্তাহে সহস্রাধিক শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালেই ২০ দিনে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১২ শিশু।
সংশ্লিষ্টরা জানান, খাগড়াছড়িতে দিনে প্রচন্ড গরম থাকলেও রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পাহাড়ি গ্রামে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে, শিশুর বাড়তি যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিউমোনিয়া প্রতিরোধে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. সাবের।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ওমর ফারুখ জানান, ঋতু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার তারতাম্যের জন্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, জ্বর ছাড়াও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়। ঠান্ডায় আক্রান্ত শিশুর অধিকাংশের বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস। ১৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে অন্তত ৬২ জন। প্রতিদিন বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে কয়েকশ রোগী। হাসপাতালের শয্যা সংকটের কারণে মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে , খাগড়াছড়ি ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় রূপান্তর করা হলেও এখনও ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে ৫৭ চিকিৎসক পদের মধ্যে ১৮ জন কর্মরত রয়েছেন।
Comments