Image description

ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে দুর্ঘটনার পর একই পথে ঝুঁকি নিয়ে আরও দুটি ট্রেন চলাচল করার অভিযোগ উঠেছে মেট্রোরেলের অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারের (ওসিসি) বিরুদ্ধে, যা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, মেট্রোরেলের পুরো প্রকল্পের নকশা পুনর্মূল্যায়ন জরুরি।

এমআরটি লাইন–৬–এর দায়িত্বশীল সূত্র অনুযায়ী, প্যাড খুলে পড়ার বিষয়টি প্রথম ট্রেন অপারেটর ওসিসিকে জানালেও তারা সতর্কতা জারি করেনি। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রেনও একই পথে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে, যেখানে যাত্রীরা কম্পন ও হেলে পড়ার অভিজ্ঞতা লাভ করেন। এর পরই ট্রেন চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দীর্ঘদিনের ক্ষয় এবং রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির কারণেই বিয়ারিং প্যাডটি খুলে পড়েছে। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা খামারবাড়ি এলাকায় নকশাগত ত্রুটির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, কার্ভ সেকশনগুলো হাই–স্পিড চলাচলের উপযোগী নয় এবং বিয়ারিং প্যাডের গাইডিং মেকানিজম দুর্বল। তারা স্ক্রু–লক বা সুরক্ষিত কাঠামোয় প্যাড স্থাপন এবং নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ প্যানেল দিয়ে পুরো প্রকল্পের অডিট ও নকশা পুনর্মূল্যায়নের সুপারিশ করেছেন।

বুয়েট অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ভায়াডাক্ট ও পিলারের মাঝে ব্যবহৃত রাবার প্যাডগুলোর জন্য সঠিক ‘গাইডিং মেকানিজম’ না থাকাটা নকশাগত ত্রুটির ফল। ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদও ঘটনাটি বিরল উল্লেখ করে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঘটনার তদন্তে সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে এবং নাশকতা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।