চীনের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ, প্রতিরক্ষা খাতে নতুন সংযোজন
বাংলাদেশ তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে এবং এরই অংশ হিসেবে চীনের তৈরি অত্যাধুনিক এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য উইকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে চীনের জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ নিয়েও আলোচনা চলছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতের আমদানির ৭০ শতাংশেরও বেশি চীন থেকে এসেছে। এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র, যা চীনে ডিএফ-১২এ নামেও পরিচিত, ২০০৮ সালে প্রথম জনসমক্ষে আসে। বর্তমানে কাতার এবং মিয়ানমার এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে।
এসওয়াই-৪০০ এর আধুনিক সংস্করণগুলোর পাল্লা প্রায় ২৮০ কিলোমিটার। এতে কঠিন জ্বালানি ক্ষেপণাস্ত্রসহ আটটি ক্যানিস্টার থাকে, যা অতিরিক্ত রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই সংরক্ষণ করা যায়। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ছয় মিটার লম্বা, ০.৪ মিটার ব্যাস বিশিষ্ট এবং ওয়ারহেড কনফিগারেশন অনুযায়ী ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ কেজি পর্যন্ত ভারী হতে পারে। এর ওয়ারহেড বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে উচ্চ-বিস্ফোরক ফ্র্যাগমেন্টেশন, সাবমিনিশন ডিসপেন্সার এবং ক্লাস্টার পেলোড।
এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় সক্রিয় বা প্যাসিভ রাডার অথবা আইআইআর সিকার রয়েছে, যা টার্মিনাল পর্যায়ে লক্ষ্য-শনাক্তকরণে সক্ষম। অসমর্থিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ম্যাক ৫.৫ পর্যন্ত গতিতে পৌঁছাতে পারে এবং ইনর্শিয়াল নেভিগেশন ও স্যাটেলাইট অগমেন্টেশন বা জিপিএস সিস্টেমের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইব্রিড গাইডেন্স স্যুট দিয়ে সজ্জিত। প্রতিটি এসওয়াই-৪০০ মাত্র ১০ মিনিটেরও কম সময়ে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।




Comments