Image description

উত্তরবঙ্গে কয়েক দিন ধরেই ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল হাওয়া আর কুয়াশা দেখা দিয়েছে। উচ্চ আর্দ্রতায় জমে আসছে শীতের অনুভূতি। তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও নেমেছে কনকনে শীতের চাপ।

রোববার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে এসে দাঁড়িয়েছে। আর দিন দিন তাপমাত্রা নিচে নেমে যাওয়ায় পঞ্চগড় জেলার কর্মজীবী সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।  

হিমালয় থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাস আর ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তবে সকাল ৯টার পর সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে শীতের প্রবণতা কমতে থাকে। আর সকাল ৯টার পর ঝলমলে রোদপড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা মোটামুটি কমে যায়। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্র নাথ জানান, তেঁতুলিয়াসহ পঞ্চগড়ের পুরো এলাকায় দিন দিন তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। নভেম্বরের শেষদিকে এখানে একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে পঞ্চগড়ে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তখন শীতের তীব্রতা অনেক বেড়ে যাবে। তখন তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে আসতে পারে। 

এদিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনসুর আলম বলেন, পঞ্চগড়ে আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের কারণে চলতি সপ্তাহ থেকে হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে আড়াই থেকে তিনশ রোগী শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বহিঃবিভাগে চিকিৎসার জন্য আসছেন।