পাঁচ আগস্টের পর দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও মামলাবাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ে মূল ধারার রাজনৈতিক শক্তিগুলো। তাদের কারণেই দেশ পরিবর্তনের সুযোগ হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। রাজনৈতিক দুষ্টুচক্রের মডেল সংস্কারের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। বিকেলে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
‘রাজনৈতিক অর্থায়নের সংস্কৃতির চ্যালেঞ্জ, বাস্তবতা ও নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক গোলটেবিলে উপস্থাপন করা হয় একটি গবেষণাপত্র। আলোচনায় রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হলফনামা কঠোরভাবে পর্যালোচনার ওপর জোর দেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের আয়–ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনতে হলে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। প্রার্থীদের হলফনামা কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে। রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করতে হলে রাজনৈতিক দলে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে হবে। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’
এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দেশ পরিবর্তনের সুযোগ হারিয়েছে। নতুন বাংলাদেশের স্লোগান ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হওয়ার বদলে উল্টো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘৫ (আগস্ট) তারিখ বিকাল থেকে কি শুরু হয়েছে? আপনাদের মনে আছে? সারা দেশে দলবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, পরবর্তীতে গ্রেপ্তার বাণিজ্য, মামলা বাণিজ্য, ট্যাগ বাণিজ্য, জামিন বাণিজ্য সব সয়লাব হয়েছে। আর এতে কারা জড়িত? মূলধারার রাজনৈতিক শক্তিগুলো, যারা আন্দোলনের বিজয়ী ছিল-১২ শত মানুষের জীবনের বিনিময়ে! তাই আমরা সুযোগ হারিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি, ব্যবসা ও আমলাতন্ত্রের সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে বাস্তবে কোনো অগ্রযাত্রা সম্ভব নয়।
ইফতেখারুজ্জামান মন্তব্য করেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের স্বপ্ন পরিবর্তনের শক্তির নিজেদের ব্যর্থতা এবং তাদের সামনে থাকা রাজনৈতিক দুষ্টচক্রের মডেলের কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।’




Comments