Image description

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য সংক্রান্ত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। প্যারিসে সংস্থার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে জয়ের ফলে ২০২৫-২৯ মেয়াদে পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ। 

১৯৭২ সালের কনভেনশনের সদস্য হওয়ার ৫৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বাংলাদেশ এই মর্যাদাপূর্ণ পর্ষদের সদস্য নির্বাচিত হলো।

কঠিন লড়াইয়ে বিজয়: এ বছর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য কোনো নির্ধারিত আসন বরাদ্দ ছিল না। ফলে বাংলাদেশকে ‘উন্মুক্ত আসনে’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কঠিন এই কূটনৈতিক লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত জয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। ইউনেস্কোতে বিভিন্ন কমিটির নির্বাচনের মধ্যে বিশ্ব ঐতিহ্য পর্ষদের নির্বাচনকে সবচেয়ে কঠিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ধারাবাহিক কূটনৈতিক সাফল্য: ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহার নেতৃত্বে গত চার বছরে ইউনেস্কোতে মোট আটটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিটিতেই জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। এর আগে গত ৭ অক্টোবর জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতকে পেছনে ফেলে ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন রাষ্ট্রদূত তালহা।

প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: নির্বাচনে জয়ের পর রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা বলেন, “এটি ইউনেস্কোতে আমাদের কূটনৈতিক সক্ষমতার প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের আস্থার প্রতিফলন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্যারিস দূতাবাসের একনিষ্ঠ প্রচারণায় এই জয় সম্ভব হয়েছে।”

আগামী ২০২৬ সালের জুন মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে অনুষ্ঠিতব্য ৪৮তম সভায় যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এই পর্ষদে তার কার্যক্রম শুরু করবে। 

উল্লেখ্য, ১৯৭২ কনভেনশনের আওতায় বাংলাদেশ এ পর্যন্ত তিনটি সাংস্কৃতিক ও একটি প্রাকৃতিক ঐতিহ্যকে (সুন্দরবন, ১৯৯৭) বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।