Image description

বগুড়ার শাজাহানপুরে ছুটিতে বাড়ি আসা এক সেনাসদস্যের বাসা থেকে তার দুই শিশুসন্তানের গলাকাটা এবং স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খলিশাকান্দির মন্ডলপাড়া গ্রামের একটি বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- মন্ডলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সেনাসদস্য শাহাদত হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া মোস্তারিম (২৪), তার তিন বছরের মেয়ে সাইফা ও সাত মাস বয়সী ছেলে সাইফ। সাদিয়া বগুড়া সদর উপজেলার ভান্ডার পাইকার গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। শাহাদত মন্ডলপাড়ার গ্রামের মৃত আবদুল বারীর ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, বঁটি দিয়ে গলা কেটে দুই শিশুসন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল মায়ের লাশ। লাশগুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাদিয়ার স্বামী সেনাসদস্য শাহাদত হোসেনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। শাহাদত সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে ময়মনসিংহে চাকরি করেন। এক সপ্তাহের ছুটিতে ২০ নভেম্বর বাড়িতে এসেছেন।

পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানান, শাহাদত হোসেনের সঙ্গে প্রায় পাঁচ বছর আগে সাদিয়ার বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে কিছুদিন আগে শাশুড়ি ও দেবরকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সাদিয়া। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। এর আগে একাধিকবার আত্মহত্যার জন্য বিষপান করেছিলেন। সোমবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর শাহাদত রাগ করে পাশের কক্ষে ঘুমাতে যান। মঙ্গলবার সকালে মা ও দুই শিশু ঘুম থেকে না ওঠায় এবং ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে স্বজনরা ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে ঘরের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করা হয়।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‌‘ছুটিতে আসা সেনাসদস্য শাহাদত সোমবার রাতে বাড়িতে ছিলেন। সকালে তাদের শয়নকক্ষ থেকে দুই শিশুসন্তানের গলাকাটা এবং স্ত্রীর গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে টের পাননি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’