চীন থেকে আমদানি করা ৪ হাজার ২০০ কেজি ঘন চিনি আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঘন চিনি সরকারের আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪ অনুসারে নিষিদ্ধ।
‘পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড’ ঘোষণা দিয়ে এই ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লাইমেট) আনা হয়েছিল। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে এনবিআর থেকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার কেরানীগঞ্জের এজাজ ট্রেডিং এক কনটেইনারে ২২ হাজার ৮৮ কেজি পণ্য আমদানি করে; যা গত ২১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটির খালাস স্থগিত করে কাস্টম হাউস। গত ৬ নভেম্বর চালানটির কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এতে দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। যার নমুনা কাস্টম হাউসের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদনে একটিতে ১৭ হাজার ৮০০ কেজি ঘোষিত পণ্য পাওয়া গেলেও বাকি ৪ হাজার ২০০ কেজি ঘন চিনি হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘন চিনি কৃত্রিম মিষ্টিকারক; যা সাধারণ চিনির চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, কডেন্সড মিল্ক, শিশুখাদ্য তৈরিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সাধারণ চিনির বদলে ঘন চিনি ব্যবহার করে থাকে। ঘন চিনি দিয়ে তৈরি খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ‘মারাত্মক ক্ষতিকর’। ঘন চিনি দ্বারা তৈরি খাবার ক্যানসারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ও ২৮ অক্টোবর দুইটি পৃথক চালানে ১০০ টন ঘন চিনির দুইটি চালান আটক করে কাস্টম হাউস।




Comments