Image description

কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার জেরে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয়নি দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি বাংলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়েও পত্রিকা দুটি স্টলে পাওয়া যায়নি।

পত্রিকা দুটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে আকস্মিক হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত অফিস ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পত্রিকা প্রকাশের নিয়মিত কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুক্রবারের ছাপা সংস্করণ বের করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া বর্তমানে দুই সংবাদমাধ্যমের অনলাইন ও ডিজিটাল কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়েছে।

এর আগে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে একদল লোক প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, এরপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

এ সময় পত্রিকা দুটির সাংবাদিকদের অনেকেই ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। পরে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে দেয়। এরপর আগুন নিভিয়ে ভবনের ভেতরে আটকা পড়া কর্মীদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় দুজন ফায়ার ফাইটার আহত হন।

এদিকে, ডেইলি স্টার ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি এবং 'নিউ এজ' পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর। রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টারের সামনে অগ্নিসংযোগ করা হলে সেখানে হামলাকারীদের থামাতে গিয়ে তাদের তোপের মুখে পড়েন তিনি।

এ ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, একদল ব্যক্তির হাতে নাজেহাল হন নূরুল কবীর। ভিড়ের মধ্যে তার পিঠে ধাক্কা দিতে দেখা গেছে। একজনকে তার চুল টানতেও দেখা যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর পায় দেশ। তার মৃত্যুতে দেশে-বিদেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর খবরে রাজধানীর শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি দেখা যায়।

হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে অন্তর্বতী সরকার।