
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে কয়েকজন উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে আপত্তি তুলেছে জামায়াতে ইসলামী। দলের পক্ষ থেকে সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করা না হলেও অভিযোগ করা হয়, কয়েকজন উপদেষ্টা ‘একটি বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করছেন’ এবং প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, “সব উপদেষ্টার বিষয়ে নয়, আমরা কয়েকজনের ব্যাপারে বলেছি। তারা প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে বলে মনে করি। আমরা তাঁকে সতর্ক থাকতে বলেছি।”
এর আগে একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিল বিএনপিও। তারাও বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল, তবে নাম উল্লেখ করেনি।
বৈঠকে কোনো উপদেষ্টার অপসারণ দাবি করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, “আমরা এখনই অপসারণ চাইনি, কেবল দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সময় দিচ্ছি, পরবর্তীতে কী করব, সেটা ভাবছি।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না তুললেও জামায়াত জানিয়েছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। তাহের বলেন, “রায়ে যদি কোনো ব্যত্যয় না হয়, তাহলে এই অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করবে।”
তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছে জামায়াত। তারা চায়, একটি সরকারি ‘আদেশ’-এর মাধ্যমে এই সনদকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হোক।
বৈঠকে জামায়াতের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
Comments