Image description

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে জাতীয় নির্বাচন অবৈধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাই পীর) সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, জুলাই সনদ যখন আইনি ভিত্তি পাবে, তখন জাতীয় নির্বাচনের আইনি ভিত্তি তৈরি হবে। নইলে সেটি অবৈধ নির্বাচন হবে।

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও গণভোটের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তবে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট চায়। যদি একসঙ্গে দুটি ভোট হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচন কোন আইনের ভিত্তিতে হবে-এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে জামায়াতসহ আট দলের ডাকা সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এ কথা বলেন। ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন’সহ পাঁচ দফা দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দাবিগুলো হলো জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু; নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন; আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।

সমাবেশে জুলাই সনদের আইনি বৈধতা দিতে গড়িমসি করলে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন চরমোনাই পীর। তিনি বলেন, ‘দুই শ্রেণির মানুষ এখন দুই মেরুতে অবস্থান করছে। এর মধ্যে এক শ্রেণি দেশপ্রমিক, আরেক শ্রেণি ক্ষমতাপ্রেমিক। আওয়ামী লীগ দেশপ্রেমিক ছিল না। একপর্যায়ে তাদের নেতা-কর্মীরা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছে। যারা নব্য ফ্যাসিস্ট হওয়ার চিন্তা করছে, নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট দেওয়ার টালবাহানা করছে, তাদের জন্য পরিষ্কার বক্তব্য হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ আগে গণভোট, তারপর জাতীয় নির্বাচন চায়।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে এমন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা মেনে নিতে বাধ্য হবে। সরকার যেন দলগুলোকে সেদিকে হাঁটতে বাধ্য না করে।