রিপাবলিকানদের পর এবার বোমা হামলার হুমকি পেয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের ছয় ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। এক বিবৃতিতে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার জন্য বাছাইকৃত একাধিক সদস্য গেল মঙ্গল ও বুধবার বোমা হামলার হুমকি পান। এ ঘটনা নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে ঠিক তখনই একইরকম হুমকি পেলেন কয়েকজন ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা।
গত বৃহস্পতিবার কানেকটিকাটের চারজন ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি জানিয়েছেন যে, বাড়িতে তাদের পরিবারের সাথে থ্যাঙ্কসগিভিং উদযাপন করার সময় তাদের বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেন ক্রিস মারফির অফিস বলেছে তাকেও টার্গেট করা হয়েছে।
এছাড়া সিনেটর সেন ক্রিস মারফির কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, তাকেও বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
সিএনএন জানায়, মার্কিন রিপ্রেজেন্টেটিভ জো কোর্টনি, জিম হিমস, জন লারসন এবং জাহানা হেইস প্রত্যেকে বোমা হামলার হুমকি পেয়েছেন জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেন। এ সময় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
রোড আইল্যান্ডের প্রতিনিধি শেঠ ম্যাগাজিনার শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানান, তিনি সম্প্রতি তার বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি সম্মুখীন হয়েছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শেষ পর্যন্ত তার বাড়িতে বোমার কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি। বোমা হামলার হুমকি পাওয়া পাঁচজন প্রতিনিধিই তাদের পরিবারসহ নিরাপদ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে সিনেটর ক্রিস মারফির কার্যালয় জানিয়েছে যে, তার হার্টফোর্ডের বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছিল। এই হুমকিকে কংগ্রেসের একাধিক সদস্যদের হুমকি দেওয়ার সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ বলে মনে হচ্ছে।"
ডেমোক্র্যাটিক নেতা হাকিম জেফ্রিস শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ’এই হুমকিগুলো অগ্রহণযোগ্য, অবাঞ্ছিত এবং সভ্য সমাজে এসবের কোনও স্থান নেই।"
দুই সূত্রের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে যে, ট্রাম্পের মনোনীত নেতাদের এবং ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতাদের কাছে পাঠানো বোমা হামলার হুমকিগুলোর মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং এফবিআই।
যদিও আগে এফবিআই জানিয়েছিল যে, তারা বেশ কিছু বোমা হামলার হুমকি এবং এ-সংক্রান্ত ভুয়া ফোনকলের তথ্য পেয়েছে। টার্গেট ব্যক্তির বাড়িতে পুলিশ জড়ো করার জন্য এসব ভুয়া কল করা হয়েছিল।
এক বিবৃতিতে ইউএস ক্যাপিটল পুলিশ জানিয়েছে যে, তারা ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে সর্বশেষ হুমকির বিষয়ে তদন্ত করছে।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments