
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্ত্রীর পাথরের শিল-পুতোর আঘাতে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম ওবায়দুর রহমান মুন্সি (৫৭)। সে আধ্যাত্মিক সাধক আব্দুল খালেক মুন্সি ওরফে ডক সাহেব (রহ.) ছেলে ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ওবায়দুর রহমান মুন্সির সাথে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তার ছেলে এবং পুত্রবধূর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ওবায়দুর রহমান মুন্সির স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পাথরের শিল-পুতো দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের প্রতিবেশীরা এসে ওবায়দুর মুন্সীে রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখতে পায়। খবর পেয়ে নিহতের ছোট ভাই সিরাজ ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ওবাইদুরকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই সিরাজ মুন্সী বলেন, আমার ভাবি ও সন্তানেরা বড় ভাইকে মানসিকভাবে নির্যাতন করে পাগল করে ফেলেছে। তারা প্রায় সময় ভাইয়ের সাথে খুব খারাপ আচারণ করতো। এমনকি তার গায়ে হাত তুলতো। বুধবার দিবাগত রাতের শেষ ভাগে ভাবি আমাকে গিয়ে বলছে তোমার ভাইকে কারা যেন মেরে ফেলে রেখে গেছে। আমি তাদের বাড়িতে ভয়ে যাই না। পরে ৯৯৯ ফোন দিয়ে থানা থেকে পুলিশ এসে ভাইকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, পারিবারিক নানা কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম ও পুত্রবধূ মাসকারা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম স্বীকার করেছেন নিজেই তার স্বামীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Comments