
এশিয়া কাপ ২০২৫-এর ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান! ৪১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে। এই ঐতিহাসিক ফাইনাল ঘিরে এরই মধ্যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।
বাংলাদেশকে সুপার ফোরে হারিয়ে পাকিস্তান ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করেছে। অন্যদিকে, ভারত তাদের সুপার ফোরের ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য এই মহাযুদ্ধের আগে উভয় শিবিরেই আত্মবিশ্বাস এবং জয়ের দৃঢ় সংকল্প লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা, গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে গেলেও, আত্মবিশ্বাসের সাথে ঘোষণা করেছেন যে পাকিস্তান শিরোপা জেতার মতো দল। তিনি বলেন, "এ ধরনের ম্যাচ জেতার অর্থ দলটা খুবই স্পেশাল। ব্যাটিংয়ে কিছু উন্নতি দরকার আছে, সেটার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা জানি, ফাইনালে কী করতে হবে, আমরা যে কাউকে হারানোর মতো দল।" তার কথায় স্পষ্ট, বিগত ম্যাচের ফলাফল ভুলে পাকিস্তান নতুন উদ্যমে ফাইনালের জন্য প্রস্তুত।
পাকিস্তানের কিউই কোচ মাইক হেসনও দলের মনোযোগ শুধু ফাইনালেই রাখতে বলেছেন। তার মতে, পাকিস্তান এখনো তাদের সেরা খেলাটা খেলতে পারেনি, যা ফাইনাল জেতার জন্য অপরিহার্য। তিনি জোর দিয়েছেন যে, "বড় ম্যাচে আবেগ থাকবে, তবে মনোযোগ কেবল ক্রিকেটে রাখো। আমরা ফাইনালে খেলার দাবিদার। এখন কেবল একটা ম্যাচের ফলই গণ্য হবে, সেটা ফাইনাল। দলের সবাই বিশ্বাস করে, তারা লড়াই করতে পারে।"
সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে অভিষেক শর্মার সঙ্গে হারিস রউফের তীব্র দৃষ্টি বিনিময় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে এখনো তাজা। সেই ম্যাচে অভিষেকের জয় হলেও, ফাইনালের আগে পাকিস্তানের এক ভক্ত রউফের উদ্দেশ্যে বলেছেন, "রউফ এবার ওকে ছেড়ে দিও না।" এই বার্তা বুঝিয়ে দিচ্ছে, শুধুমাত্র খেলোয়াড়রাই নয়, সমর্থকরাও এই ম্যাচটিকে ব্যক্তিগত লড়াই হিসেবে দেখছেন।
ভারত ও পাকিস্তানের এই ফাইনাল শুধুমাত্র একটি ক্রিকেট ম্যাচ নয়, এটি দুই দেশের আবেগ, গর্ব আর শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। কে হাসবে শেষ হাসি, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ফাইনাল ম্যাচের দিন পর্যন্ত।
Comments