Image description

দেশের জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ নারী হলেও তাদের জন্য মাত্র ৫ থেকে ৭ শতাংশ আসন সংরক্ষণের প্রস্তাবে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি নারীদের জন্য ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন। রোববার রাজধানীতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সংলাপে তিনি এই দাবি উত্থাপন করেন।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, “৫৫ বছর পরও নারীদের জন্য মাত্র ৫ থেকে ৭ শতাংশ আসনের কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের ন্যূনতম দাবি, ৩৩ শতাংশ আসন নারীদের জন্য নিশ্চিত করা।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, নারীরা শুধু ভোটার নন, তারা সমাজের প্রতিটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো নারীদের অংশগ্রহণকে প্রান্তিকভাবে বিবেচনা করছে, যা অগ্রহণযোগ্য।

নির্বাচন কমিশনের প্রতি তিনি নারীদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান এবং ভোটের আগে, চলাকালীন ও পরে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে নির্বাচন অর্থবহ হবে না।”

প্রবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, “প্রবাসীদের সন্তানরা পড়াশোনার জন্য দেশে থাকে। তাদের নিরাপত্তা ও অংশগ্রহণের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা ছাড়া কোনো নির্বাচন পূর্ণাঙ্গভাবে সফল হতে পারে না।