
এশিয়া কাপের ফাইনালে রোববার রাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে ভারত, আর বোলারদের জন্য এক আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছেন ভারতের ওপেনার অভিষেক শর্মা। তার বিধ্বংসী ব্যাটিং দিয়ে তিনি একাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন এবং একাধিক নতুন রেকর্ড গড়তে পারেন।
এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত অভিষেক শর্মা ৫১.৫০ গড়ে এবং ২০৯.৬৩ স্ট্রাইক রেটে ৩০৯ রান করেছেন, যা টুর্নামেন্টের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। তার ৫০টি বাউন্ডারির (৩১টি চার ও ১৯টি ছক্কা) বিপরীতে সিঙ্গেল নিয়েছেন মাত্র ৪৫টি, যা তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রমাণ।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ এই ব্যাটসম্যান আজ ফাইনালে কয়েকটি রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন:
টানা ৩০ ছোঁয়া ইনিংস: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক টানা সাতটি ৩০ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন (১৩৫, ৩০, ৩১, ৩৮, ৭৪, ৭৫, ৬১)। আজ আরেকটি ৩০ ছোঁয়া ইনিংস খেলতে পারলেই তিনি রোহিত শর্মা (নভেম্বর ২০২১ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২২) ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (এপ্রিল ২০২১ থেকে অক্টোবর ২০২১) ছাড়িয়ে যাবেন, যাদেরও টানা সাতটি ৩০ ছোঁয়া ইনিংসের রেকর্ড রয়েছে।
টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভারতের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক: আজ যদি অভিষেক ১১ রান করতে পারেন, তাহলে তিনি টি-টোয়েন্টি সিরিজ বা টুর্নামেন্টে ভারতের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হবেন। বর্তমানে রেকর্ডটি বিরাট কোহলির দখলে, যিনি ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩১৯ রান করেছিলেন।
টেস্ট খেলুড়ে দেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক: ২৩ রান করতে পারলে অভিষেক টেস্ট খেলুড়ে দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক টি-টোয়েন্টি সিরিজ বা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হবেন। বর্তমানে রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের ফিল সল্টের, যিনি ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৮২.৭৫ গড়ে, ২ সেঞ্চুরিতে ৩৩১ রান করেছিলেন।
এশিয়া কাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রান: এশিয়া কাপের এক আসরে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে) সর্বোচ্চ রানের মালিক হতে হলে অভিষেককে আজ ৭০ রান করতে হবে। রেকর্ডটি বর্তমানে শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়ার, যিনি ২০০৮ এশিয়া কাপে (ওয়ানডে সংস্করণ) ৩৭৮ রান করেছিলেন।
এশিয়া কাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি: এশিয়া কাপের এক আসরে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে) সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির রেকর্ডও নিজের করে নিতে পারেন অভিষেক। এর জন্য তার দরকার আরও ১০টি চার অথবা ছক্কা। বর্তমানে রেকর্ডটি ভারতের বীরেন্দর শেবাগের, যিনি ২০০৮ এশিয়া কাপে (ওয়ানডে সংস্করণ) ৪৯টি চার ও ১০টি ছক্কা মেরেছিলেন।
তবে অভিষেকের ফাইনালের পারফরম্যান্স অতীতে ভালো ছিল না। শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটে তিনি দুটি ফাইনাল খেলেছেন—২০২৩ সালের সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির ফাইনালে পাঞ্জাবের হয়ে গোল্ডেন ডাক এবং গত বছর আইপিএল ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৫ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন। আজ রাতে তিনি কি পারবেন তার অতীতের ফাইনালে ব্যর্থতার ধারা ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়তে?
Comments