Image description

সম্প্রতি জনপ্রিয় গায়িকা ও অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক বেনি ব্লাঙ্কোর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। গত ডিসেম্বরে বাগদান সেরেছিলেন এই পপ তারকা। প্রায় ৯ মাস পর তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় পরিবার, বন্ধু এবং অনুরাগীরা উচ্ছ্বসিত। তবে এই বিয়েতে একজন কষ্ট পেয়েছেন, যিনি নিজের কিডনি দিয়ে সেলেনার জীবন বাঁচিয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সেলেনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেত্রী ফ্রান্সিয়া রাইসা, যিনি ২০১৭ সালে লুপাসজনিত জটিলতার কারণে সেলেনাকে একটি কিডনি দান করে তার জীবন বাঁচিয়েছিলেন, তিনি নাকি এই বিয়ের দাওয়াত পাননি! এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে এবং সেলেনা গোমেজ সমালোচিত হচ্ছেন।

গোমেজ ও রাইসার বন্ধুত্বের ফাটল প্রকাশ্যে আসে গোমেজের বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই। রাইসার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলো থেকে বোঝা যায়, তিনি বিয়েতে অনুপস্থিত ছিলেন। সেলেনার বিয়েতে টেইলর সুইফট, এড শিরান, এসজেডএ এবং ক্যামিলা কাবেলোর মতো হাই-প্রোফাইল তারকারা উপস্থিত থাকলেও, রাইসার নাম অতিথিদের তালিকায় ছিল না। ‘অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং’ সিরিজের সহ-অভিনেতা স্টিভ মার্টিন ও মার্টিন শর্টও উপস্থিত ছিলেন এবং শোনা যায়, তারা বক্তৃতাও দিয়েছেন। পিপল এবং ইনস্টাইলসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম অতিথিদের তথ্য ও ছবি প্রকাশ করলেও রাইসার নাম কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।

রাইসার অনুপস্থিতি অনুরাগীদেরও নজর এড়ায়নি। বিয়ের পুরো সপ্তাহজুড়ে রাইসা ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন পোস্ট দিলেও গোমেজ বা তার বিয়ে সম্পর্কিত কোনো পোস্ট দেননি। বিয়ের দিন তিনি কোরিওগ্রাফার সাশা ফারবারের সঙ্গে নাচের ভিডিও শেয়ার করেন, যা ইঙ্গিত দেয় তিনি তখন অন্য কোথাও ছিলেন। তার অনুপস্থিতি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়তা সম্ভবত ইঙ্গিত করে যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যদিও এই বিষয়ে রাইসা বা গোমেজ কেউই নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য দেননি।

এদিকে, সেলেনা গোমেজ তার বিয়েতে ফ্রান্সিয়া রাইসাকে দাওয়াত না দেওয়ায় অনুরাগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অনেকে মন্তব্য করছেন, “যে বন্ধু নিজের শরীরের অঙ্গ দান করেছিল, তাকে ভুলে যাওয়া অকৃতজ্ঞতার পরিচয়।”

ডেইলি মেইল জানিয়েছে, সেলেনার বিয়ের অতিথি তালিকায় ফ্রান্সিয়া রাইসার নাম ছিল না। সেলেনা গোমেজের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় দুই তারকার বন্ধুত্বে ভাঙন ধরেছে কি না, তা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। অনেকে মনে করছেন, এই সম্পর্ক মেরামত হওয়া কঠিন, আবার কেউ কেউ বলছেন, কোনো কিছু নিশ্চিত না হয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক নয়।